হাসপাতাল সিলগালা

পাবনা আইডিয়াল হাসপাতালে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুই প্রসূতির মৃতু্য

প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা আইডিয়াল হাসপাতাল নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এক ঘণ্টার ব্যবধানে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন, ইনজেকশসহ ভুল চিকিৎসায় দুই প্রসূতি মায়ের মৃতু্য হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার রাত ৩টার দিকে পৃথক ডাক্তারের সিজারিয়ান অপারেশনে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে খবর পেয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সরেজমিন পরিদর্শন করে হাসপাতালটি সিলগালা করে বন্ধ করে দিয়েছে। অনুসন্ধানে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। পুলিশ বলছে, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সিজারিয়ান অপারেশনে মারা যাওয়া দুই প্রসূতি হলেন- পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার খিদিরপুরের স্বপ্না খাতুন ও কুষ্টিয়ার শিলাইদহ গ্রামের মাহবুব বিশ্বাসের স্ত্রী ইনসানা খাতুন। নিহতদের পরিবারের লোকজন ঘটনার আগের দিন প্রসব বেদনা উঠলে তাদের এই হাসপাতালে ভর্তি করান। জানা যায়, ডাক্তার জাহিদা জহুরা লীজা ইনসানা খাতুনের সিজারিয়ান অপারেশন করেন। তার ভুল চিকিৎসায় এমন মৃতু্য হয়েছে বলে নিহত লীজার স্বজনদের অভিযোগ। অন্যদিকে ডাক্তার কাজী নাহিদা আক্তার লিপি একই হাসপাতালে স্বপ্না খাতুনের সিজারিয়ান অপারেশন করেন। এই পরিবারও ডাক্তারের ভুল অপারেশনে রোগীর মৃতু্য অভিযোগের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান। নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, ইতোপূর্বেও এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে রোগীকে ভুল চিকিৎসা দেওয়া, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার করায় রোগী মৃতু্যর অভিযোগ রয়েছে। বারবারই এই হাসপাতালগুলো এ ধরনের মানুষ মারার মতো কাজ করলেও অজ্ঞাত কারণে পার পেয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপসহ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে বলে দাবি তাদের। পাবনা আইডিয়াল হাসপাতালের পার্টনার আব্দুলস্নাহ আরিফ বলেন, 'আমরা সব সময় রোগীকে ভালো চিকিৎসা ও ভালো ওষুধ দিয়ে থাকি। অভিযোগগুলো সঠিক নয়। স্বাস্থ্য দপ্তর এসেছিলেন। তারা তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তাদের তদন্তেই বেড়িয়ে আসবে প্রকৃত ঘটনা।' পাবনার সিভিল সার্জন ডাক্তার শহীদুলস্নাহ দেওয়ান জানান, ঘটনাটি জানার পর ওই হাসপাতাল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়। ঘটনা অনুসন্ধানে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম বলেন, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।