আবার তীব্র দাবদাহ বিরাজমান

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহের পর রাতে এক পশলা বৃষ্টি

প্রকাশ | ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপদহে মুখমন্ডলে সেচের পানি দিচ্ছে এক কৃষক -যাযাদি
তীব্র দাবদাহের পর মঙ্গলবার দিনগত রাতে চুয়াডাঙ্গায় হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে রাতে ঝিলমিল জোসনার আলো ছিল। সবটুকু আলো ঢেলে দিয়েছিল জোসনার চাঁদ। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে হঠাৎ মেঘের গর্জন। সারা আকাশজুড়ে মেঘ। এরপর রাত ১টার দিকে টিপটিপ সামান্য বৃষ্টি শুরু হয়। তবে বেশিক্ষণ ছিল না। ১টা ১০ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট। এরপর সাবেক অবস্থায় ফিরে আসে আবহাওয়া। এদিকে বুধবার বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টি কামনায় মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গাতে ইস্তেস্কারের সালাত আদায় করে মানুষ। রাতে মেঘ দেখে স্বস্তি ফিরে আসে মানুষের মধ্যে। আকাশে মেঘের গর্জনে কালবৈশাখি ঝড়ের ধারনা করছিল মানুষ। কিন্তু সেটা হয়নি। আধা ঘণ্টা পর মেঘ কেটে গিয়ে আবারও আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়। ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র। কেন্দ্রের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, রাতে অনাঙ্ক্ষিত হালকা বৃষ্টি হয়েছে। ভারতের পূর্ব মেদিনীপুর ও বর্ধমান এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল। মেঘের অবস্থান ছিল উচ্চ স্তরে। রাতে এই মেঘমালা যশোর, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের ওপর দিয়ে ভেসে যাওয়ার সময় নিম্নস্তরের মেঘের সঙ্গে মিশে যায়। এর ফলে হালকা বৃষ্টি হয়। তবে তাপমাত্রার কোন পরিবর্তন হয়নি। দাবদাহ চলমান রয়েছে। আগামীতে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আপাতত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এপ্রিল মাসজুড়ে তাপমাত্রার এ অবস্থা বিারজমান থাকবে। বুধবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩২ দশমিক ৭ ডিগ্রি। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৩ শতাংশ। দুপুর ১২টায় ৩৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ২৩ শতাংশ। বিকাল ৩টায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আদ্রতা ছিল ২১ শতাংশ। মঙ্গলবার এ জেলার সর্র্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোদের তীব্রতা আর প্রচন্ড গরমে বিপর্যস্ত রয়েছে জনজীবন।