গেট তালাবদ্ধ থাকায় শেষ রক্ষা হলো না শিশু রিয়ার

প্রকাশ | ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

পাবনা প্রতিনিধি
বাবা যান কর্মস্থলে, আর মা যান বাড়ির প্রধান গেটে তালা দিয়ে বাইরে। বাসার উঠানে গ্যাসলাইট নিয়ে খেলা করছিল শিশু রিয়া ও তার ভাই। খেলার এক পর্যায়ে রিয়া মাটির পুতুল পোড়াতে গিয়ে জামায় আগুন লেগে যায়। বাড়ির প্রধান গেট তালাবদ্ধ থাকায় প্রতিবেশীরাও বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেনি। আগুনে শিশু রিয়ার শরীর পুরোটাই পুড়ে যায়। পরে হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিয়া। গত বুধবার এমনই এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে পাবনার ঈশ্বরদীতে। গত রাত ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিয়া। মৃত রিয়া খাতুন (১২) উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পাঠশালা মোড়ের পিন্টু বিশ্বাসের মেয়ে এবং দিয়াড় সাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। রিয়ার ফুফাতো ভাই সৌরভ হোসেন জানান, রিয়ার বাবা পিন্টু বিশ্বাস রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎ কেন্দ্রে চাকরি করেন। তিনি সেখানে ডিউটি করতে যান। তার স্ত্রী বাড়ির প্রধান গেটে তালা দিয়ে বাইরে যান। সেসময় রিয়া এবং তার ৫ বছর বয়সি ভাই গ্যাসলাইট জ্বালিয়ে উঠানে খেলছিল। এক পর্যায়ে রিয়া মাটির পুতুল পোড়াতে গিয়ে তার জামায় আগুন লেগে যায়। সে সময় শুধু রিয়া এবং তার ছোট ভাই বাড়িতে ছিল। বাড়ির প্রধান গেট তালাবদ্ধ থাকায় প্রতিবেশীরাও বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেনি। আগুনে শিশু রিয়ার শরীর পুরোটাই পুড়ে যায়। তাকে দ্রম্নত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিয়া। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের চিকিৎসক সাবরিনা রহমান বলেন, আগুনে শিশু রিয়ার মুখমন্ডলসহ শরীরের বেশির ভাগই পুড়ে গেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে এলে অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, আগুন লাগার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।