বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

মহাদেবপুর (নওগাঁ) সংবাদদাতা
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার আত্রাই নদীর মহিষবাথান ঘাটে অবৈধভাবে খননযন্ত্র (ড্রেজার) দিয়ে বালু উত্তোলনে ফলে হুমকির মুখে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। এতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বাঁধে ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তীরবর্তী বাসিন্দারা। বাঁধটি ভেঙে পড়লে সরকারি খাদ্যগুদাম, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ১৪-১৫টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) অফিসসহ অন্তত ছয়টি গ্রাম পস্নাবিত হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহিষবাথান ঘাটে একই স্থানে সারি বেঁধে ১০ থেকে ১২টি খননযন্ত্র বসিয়ে এক বছরের বেশি সময় ধরে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলন করে আসছে একটি প্রভাবশালী মহল। নদীর তলদেশে গভীর গর্ত করে খননযন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলন করায় সিসি বস্নকের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সিসি বস্নক নদীতে ধসে পড়ছে। ফলে ফসলি জমিসহ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। বালু উত্তোলনে ওই এলাকার প্রায় আধা কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন স্থান নদীতে ধসে পড়ায় গত ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার এলাকাবাসী বালু উত্তোলনে বাধা প্রদান করে। গত বুধবার দুপুরে মহিষবাথান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ড্রামের সাহায্যে নদীতে ৬টি খননযন্ত্র ভাসিয়ে রাখা হয়েছে। এসব যন্ত্রের সাহায্যে নদীর তলদেশে গর্ত করে বালু তোলা হচ্ছে। প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে বালু উত্তোলন করলে বুধবার সন্ধ্যায় ইউএনও আবারও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আগমন টের পেয়ে বালু উত্তোলনকারী ও ট্রাক ড্রাইভাররা ট্রাক ফেলে পালিয়ে গেলে ট্রকের চাকার হাওয়া ছেড়ে দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোবারক হোসেন জানান, মহিষবাথান ঘাটে তিন দফায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। নীতিমালা লঙ্ঘন করে কেউ বালু তুললে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'বাঁধ হুমকির মুখে তা আপনার কাছে প্রথম শুনলাম। দ্রম্নত ওই এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'