মধ্যপাড়া খনির পাথর তোলা বন্ধ

প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা
মেশিন নষ্ট হওয়ায় দিনাজপুরের পার্বতীপুর মধ্যপাড়া খনি থেকে পাথর উত্তোলন ১৫ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তবে মেশিন মেরামত করে কবে নাগাদ পাথর উত্তোলন শুরু হবে এ বিষয়ে খনি কর্তৃপক্ষ সঠিক তথ্য দিতে পারছে না। জানা গেছে, পাথর উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত উইন্ডিং মেশিনের গিয়ার বক্সের পিনিয়াম ভেঙে যাওয়ায় গত ৩ এপ্রিল রাত থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। চীন থেকে আমদানীকৃত মেশিনটির পুরো গিয়ার বক্স পরিবর্তন করতে হবে, নাকি শুধু পিনিয়াম হলেই চলবে- এ বিষয়ে খনি কর্তৃপক্ষ কিছুই বলতে পারছে না। তবে একটি সূত্র জানায়, খনির উৎপাদন ঠিকাদার জিটিসি মেশিন সরবরাহকারী চীনা কোম্পানির সাথে যোগাযোগের উদ্যোগ নিয়েছে। এদিকে, এক বছর ধরে পাথর বিক্রিতে গতি না থাকায় খনি ইয়ার্ডে প্রায় ৬ লাখ টন পাথরের মজুদ গড়ে উঠেছে। এ অবস্থায় পাথর বিক্রিতে গতি আনতে পাথরের মূল্য কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে খনি কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৬ চাকার গাড়িতে ট্রাকসহ ২২ টনের বেশি এবং ১০ চাকার গাড়িতে ট্রাকসহ ৩০ টনের বেশি মালামাল পরিবহণ করা যাবে না। সরকারি এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে গিয়েই খনির পাথর বিক্রির পরিমাণ কমে যায়। কর্তৃপক্ষ জানায়, ট্রাক মালিক ও চালকরা আগে যেখানে ৬ চাকার ট্রাকে ২৫-২৬ টন এবং ১০ চাকার ট্রাকে ৪০-৪১ টন পাথর পরিবহণ করত এখন সেখানে একই ভাড়ায় ৬ চাকার ট্রাকে ১৫-১৬ টন এবং ১০ চাকার ট্রাকে ১৯-২০ টনের বেশি পাথর পরিবহণ করতে পারছে না। অথচ পাথর আমদানিকারক ও সরবরাহকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি সিদ্ধান্ত না মেনে আগের নিয়মেই ট্রাকে অতিরিক্ত পাথর পরিবহণ করছে। ফলে খনি কর্তৃপক্ষ ক্রেতা হারায় এবং পাথর বিক্রি কমে যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (এমজিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাবেদ চৌধুরী বলেন, 'পাথরের বিক্রয়মূল্য কমানোর বিষয়ে বিদু্যৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে পাথরের বিক্রয়মূল্য কমানো হবে।'