রাজস্থলীতে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে সর্বজনীন পেনশন স্কিম
প্রকাশ | ১০ মে ২০২৪, ০০:০০
রাজস্থলী (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলায় প্রতিদিনই সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করতে পাহাড় পর্বত পেড়িয়ে গ্রাম-মহলস্না থেকে ছুটে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে করে জাতীয় পেনশন স্কিমের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পেনশন স্কিমের সুবিধার কথা অনুধাবন করতে পেরে স্থানীয়দের মধ্যে এর আগ্রহ বাড়ছে। এ ছাড়া সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিষয়ে স্থানীয়দের সচেতনতা সৃষ্টি করতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করে যাচ্ছে রাজস্থলী উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে উপজেলার বেশকিছু সংখ্যক বাসিন্দা পেনশন স্কিম চালু করেছে।
জানা যায়, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮-৫০ বছর বয়সি সব বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। তবে, বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ নাগরিকও ১০ বছর নিরবচ্ছিন্ন চাঁদা প্রদান করলে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া পেনশন স্কিমে ৪টি ক্যাটাগরি রয়েছে। যেখানে প্রগতি, সমতা, প্রবাস এবং সুরক্ষা স্কিম। সাধারণত প্রগতি স্কিমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং কর্মচারীরা এই স্কিম গ্রহণ করতে পারবে। যেখানে মাসিক চাঁদার হার ২০০০, ৩০০০ এবং ৫০০০। এ ছাড়া সমতা স্কিমে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী যাদের বাৎসরিক আয় অনূর্ধ্ব ৬০ হাজার টাকা, তাদের মাসিক চাঁদা ১০০০। এরমধ্যে ৫০০ টাকা নিজের এবং ৫০০ টাকা সরকার দেবে। প্রবাস স্কিম সাধারণত প্রবাসীদের জন্য। প্রবাস স্কিমে বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা প্রদানে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা পাবেন। এই প্রণোদনার অর্থ তার চাঁদা হিসাবে জমা হবে এবং সবশেষে রয়েছে সুরক্ষা স্কিম। এই স্কিমে কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, গৃহিণী, তাঁতিসহ সব অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত ব্যক্তিরা নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদান করে এই স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন। মাসিক চাঁদার হার ১০০০, ২০০০, ৩০০০ ও ৫০০০ টাকা।
এ ছাড়া রাজস্থলী উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সর্বজনীন পেনশন স্কিম-সংক্রান্ত হেল্পডেস্ক চালু করা হয়েছে। যেখানে পেনশন স্কিম চালু থেকে শুরু করে যেকোনো বিষয়ে জানার সুযোগ এবং সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজীব কান্তি রুদ্র বলেন, 'উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিষয়ে আমরা প্রতিনিয়ত অবগত করছি। এতে দিন দিন স্থানীয়দের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আগ্রহ বাড়ছে। ইতোমধ্যে রাজস্থলীর অনেক বাসিন্দা এই সেবা গ্রহণ করেছেন। আমরা আশা করব, শিগগিরই এলাকার অন্য বাসিন্দারাও সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় চলে আসবেন। এতে যারাই এই পেনশন স্কিম সেবার আওতায় আসবেন, তারা সবাই ভবিষ্যতে এর সুফল পাবেন।'