প্রকল্পে অবহেলার অভিযোগ

মাজরা পোকার আক্রমণে ১৫০ বিঘা জমির ধান নষ্ট

প্রকাশ | ১৪ মে ২০২৪, ০০:০০

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
কৃষি অফিসের অবহেলায় যশোরের অভয়নগরে ১৫০ বিঘা জমির পাকা ধান নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধান কাটার আগেই কৃষকের স্বপ্ন ম্স্নান করেছে 'মাজরা' নামে এক ধরনের পোকা। যে কারণে সরকারি প্রকল্পের ১৪ লাখ টাকা সম্পূর্ণ ভেস্তে গেছে। তবে অবহেলার দায় স্বীকার করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সমলয় চাষাবাদ কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৪ লাখ টাকা। প্রথমে উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের দিয়াপাড়া গ্রামে শংকরপাশা বস্নকে ৭২ জন কৃষকের ১৫০ বিঘা (৫০ একর) জমির জন্য সিডলিং ট্রেতে শুষ্ক বীজতলা স্থাপন করা হয়। পরে রাইস ট্রান্সপস্নান্টারের মাধ্যমে ওই জমিতে ধানের চারা রোপণ করা হয়। শেষে গুটি ইউরিয়া ব্যবহারসহ সুষম মাত্রায় সার দেওয়া হয়। যার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে উপজেলা কৃষি অফিস। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কামাল মোল্যা, সুবহান শেখ, শহিদুল গাজী বলেন, 'উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেন। প্রকল্পের বিষয় ও শর্তাবলি সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করেন। স্থানীয় ৭২ জন কৃষকের ১৫০ বিঘা জমিতে 'তেজ গোল্ড' নামে বায়ার ক্রপ সাইন্স কোম্পানির বীজতলা স্থাপন করেন। বীজতলা থেকে চারা হওয়ার পর চলতি বছরের শুরুতে মেশিন দিয়ে তা রোপণের ব্যবস্থা করেন। প্রয়োজন মতো সার দেওয়া হয়। এরপর ধান পাকতে শুরু করে। কিন্তু ধান পাকার সময় মাজরা পোকা আক্রমণ করে। বিষয়টি কৃষি অফিসে জানালে তারা গুরুত্ব দেয়নি। গত সোমবার ধান কাটতে গিয়ে দেখি মাজরা পোকার আক্রমণে বিঘার পর বিঘা জমির ধান চিটা হয়ে গেছে। কৃষি অফিসের অবহেলায় সরকারি প্রকল্পের লাখ লাখ টাকা পোকার পেটে গেছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি আমরা। এ জন্য কৃষি অফিস বরাবর ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।' এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, 'প্রথমবারের মতো অভয়নগরে সমলয় চাষাবাদ কার্যক্রম শুরু করা হলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। এ প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে ১৪ লাখ টাকা। পাকা ধান কাটার সময় জানতে পারি মাজরা পোকা আক্রমণে ধান চিটা হয়ে গেছে। কৃষি অফিসের তদারকিতে অবহলো ছিল বিধায় দায়ভার আমার ওপর বর্তায়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।'