তিন জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
তিন জেলায় গত দুইদিনে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঝিনাইদহে এক, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় এক ও কিশোরগঞ্জে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিনিধি এবং সংবাদদাতার পাঠানো খবর : ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের জামিরুল ইসলাম (৩৯) নামের এক হার্ডওয়ার ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সদর উপজেলার আটলিয়া-কুবিরখালী মাঠ এলাকায় খালের ধারে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে তাকে। নিহত জামিরুল ইসলাম মধুহাটি ইউনিয়নের কুবিরখালি গ্রামের মসজিদপাড়ার মজনুর রহমানে ছেলে। তিনি একজন হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী ছিলেন। এছাড়া সে স্থানীয় যুবলীগের সক্রিয় কর্মী ছিল বলেও পুলিশ জানিয়েছে। নিহতের চাচাত ভাই সাইফুল ইসলামের জানান, আটলিয়া বাজারে তার একটি হার্ডওয়ারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। রাতে সেটি বন্ধ করে একই গ্রামের মিলন নামের এক সঙ্গীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিল। ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করে। এ সময় তার সঙ্গী মিলন পালিয়ে যায়। জামিরুল খুব শান্ত স্বভাবের ছিল এবং তার তিনটি মেয়ে রয়েছে বলে জানায়। ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ): ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের যমুনারপাড় গ্রামে ছেলে আলম মিয়ার হাতে মা আম্বিয়া খাতুন (৬০) খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ভোর রাত ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং ঘাতক ছেলেকে আটক করেছে। স্থানীয় মো. আব্দুস ছালাম জানান, একই বাড়ির এক নিকটাত্নীয় বিদেশে যাওয়ার কারণে শনিবার ভোর রাত ৩টার দিকে অনেকের মতো আলম ও তার মা আম্বিয়া ঘুম থেকে ওঠে। প্রায় ৪টার দিকে বাড়ি থেকে প্রবাসী রওনা হলে ১০০ গজ যাবার আগেই আলম তার কাছে থাকা আকাশমণির লাকড়ি দিয়ে তার মাকে মাথায় আকস্মিক আঘাত করে এতে ঘটনাস্থলেই তার মায়ের মৃতু্য হয়। প্রতিবেশীরা ঘাতক ছেলেকে আটক করে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং ঘাতক ছেলেকে থানায় নিয়ে আসে। ফুলবাড়ীয়া থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ কবিরুল ইসলাম জানান, ঘাতক ছেলে আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকাবাসীর মতে, আলম মানসিক ভারসাম্যহীন তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ): কিশোরগঞ্জের নিকলী সদর ইউনিয়নের দোয়ারহাটি গ্রামের শাহাবুদ্দির ছেলে সুহেল মিয়া (২৫) শুক্রবার রাতে নিজ ঘরে গামছা পেঁছিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে। অন্যদিকে টিকলহাটি গ্রামে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে জমসেদ আলীর সঙ্গে হুমায়ূন মিয়ার লোকজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে জমসেদ আলী হুমায়ূন মিয়াকে মাথায় আঘাত করলে মারাত্মক জখম হয়ে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি হয়। এ সময় মুসলিম মিয়া (৩০) গুরুতর আহত হুমায়ূনকে ঐ হাসপাতালে ভর্তি করে ফিরার পথে হার্ট স্ট্রোক করে মোসলিম মিয়ার মৃতু্য হয়।