ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ঝড়ে স্কুলের উপর ভেঙে পড়া রেইনট্রি গাছ -যাযাদি
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ঝড়ে গাছ পড়ে লামকাইন বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির শ্রেণিকক্ষ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এতে করে বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ-সংকটের কারণে ঝড়ে বিধ্বস্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান! আর তাই আতঙ্কে রয়েছেন অভিভাবকরা। উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়নের লামকাইন গ্রামে ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ৯৭ নং লামকাইন বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে ১৭৪ জন শিক্ষার্থী ও ৬ জন শিক্ষক-কর্মচরী রয়েছেন।
সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ মে গফরগাঁও উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়নের লামকাইন গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ের তান্ডবে লামকাইন বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে থাকা রেইনট্রি গাছ ভেঙে বিদ্যালয়ের আধাপাকা ভবনের ওপর পড়ে যায়। এতে বিদ্যালয়ের আধাপাকা ভবনের টিনের চাল ধসে পড়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠদান কক্ষ বিধ্বস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বৈদু্যতিক লাইনসহ বেঞ্চ-টেবিল ও বৈদু্যতিক পাখা। পাশের কক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চললেও দুশ্চিন্তা কাটেনি অভিভাবকদের। আতঙ্কে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে গেছে বলে জানান প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক দিদার।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক দিদার বলেন, ঝড়ে স্কুলমাঠের বড় রেইন-ট্রি গাছ ভেঙে স্কুলে একটি শ্রেণিকক্ষে উপর পড়ে। শ্রেণিকক্ষ সংকটে ঝুঁকি নিয়ে পাশের কক্ষে শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে গাদাগাদি করে পাঠদান করানো হচ্ছে। দ্রম্নত ভবন সংস্কার করার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মহনা ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহানা জানায়, দু'টি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে। গরমে বেশি শিক্ষার্থীর কারণে লেখাপড়ায় বিঘ্ন হচ্ছে।
দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আদিবার অভিভাবক শরিফ উদ্দিন ঢালী বলেন, 'দ্বিতীয় শ্রেণির কক্ষের ওপর গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পাশের চতুর্থ শ্রেণির কক্ষটিও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এখানেই গাদাগাদি করে পাঠদান করানো হচ্ছে। সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছি।'
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সবুজ মিয়া বলেন, বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষকে আপাতত পাঠদান চালিয়ে যেতে বলেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া ইয়াসমিন বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে পড়াশোনায় পিছিয়ে না পড়ে, সে জন্য বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি দ্রম্নত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।