দীর্ঘ দুইমাস অপেক্ষার পর নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা শেষে জলদসু্যর কবল থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আবদুলস্নাহর এবি (অ্যাবল সি ম্যান) হিসেবে কর্মরত নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ আনারুল হক রাজু বাবা মায়ের বুকে ফিরেছেন।
মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে পৌঁছালে আবেগাপস্নুত হয়ে পড়েন রাজুর বাবা আজিজুল হক মাস্টার ও মা দৌলত আরা বেগম। রাজুকে একনজর দেখতে ছুটে আসেন আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
ছেলেকে ফিরে পেয়ে রাজুর মা দৌলত আরা বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, 'কত কষ্ট সহ্য করেছি, এক আলস্নাহ জানে আর আমি জানি। আলস্নাহর ওপর ভরসা ছিল। বড় বিপদ থেকে মুক্ত হয়ে আমার ছেলে আমার বুকে ফিরেছে। আর কারও পরিবার যেন এ পরিস্থিতিতে না পড়ে, সে দোয়া করি।'
রাজুর বাবা আজিজুল হক মাস্টার বলেন, 'বাড়িতে এসে ঈদ করার কথা ছিল রাজুর। আমরা ঈদ করতে পারিনি। আজ আমাদের ঈদ। নামাজ পড়ে মহান আলস্নাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। শিপিং কোম্পানি ও সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে অনেক ধন্যবাদ। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা ছিল বলেই এত দ্রম্নত আমার ছেলে আমার বুকে ফিরে এসেছে।'
বাবা মায়ের কাছে ফিরতে পেরে রাজুর চোখেও আনন্দ অশ্রম্ন। তিনি বলেন, বিভীষিকাময় সময় পার করেছি বন্দি সবাই। পরিবারের কাছে ফেরা স্বপ্ন ছিল। এত দ্রম্নত কোনো জাহাজ জিম্মি থেকে মুক্তি পায়নি। আমাদের কোম্পানি আন্তরিক ছিল বলেই আমরা বাড়িতে আসতে পেরেছি। আমাদের কোম্পানির সবাইকে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।'
ইউএনও আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী বলেন, 'জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হয়ে বাবা মায়ের বুকে ফিরতে পারা যে কী আনন্দ তা সবার উপলব্ধি হবে না। কেবল ২৩ জন নাবিকের ২৩টি পরিবার নয়। পুরো বাংলাদেশ তাদের দিকে তাকিয়ে ছিল। রাজুর ঘরে আজ আনন্দ। আমি পুরো পরিবারের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি কামনা করছি।'