পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে হতাশ নাটোরের মেধাবী মীম ও মুন

প্রকাশ | ১৬ মে ২০২৪, ০০:০০

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের অদম্য মেধাবী ছাত্রী রোকসানা আক্তার মীম ও মোহনা আক্তার মুন এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ভালো ফলাফল পেলেও পরিবারের আর্থিক অনটনের কারণে রয়েছে চরম হতাশায়। পরিবারের অভাব অনটনের কথা চিন্তা করে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েও তাদের কিশোরী মনে নেই কোনো আনন্দ। নাটোর সদরের ছাতনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী মুনের বাবা জহুরুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। মামার বাড়ির এক কোণায় পুরাতন ভাঙা টিন জোরাতালি দিয়ে কোনোমতে গড়ে তোলা ছোট্ট একটি ঘরে মা মর্জিনা খাতুনের সঙ্গেই মুনের বসবাস। সেই ঘরে ভাঙা একটি চৌকি ও পড়ার টেবিল ছাড়া নেই আর কোনো আসবাবপত্র। মা নিজে কাজ করে মেয়ের লেখাপড়ার যতটা সম্ভব খরচ জোগান। মুন প্রাইভেট পড়িয়ে কিছু টাকা জোগার করেন আর বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোগিতায় এতদূর আসলেও এখন কিভাবে পড়ালেখা চালাবেন তা নিয়ে ভীষণ চিন্তিত মা ও মামা। মুনের ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা আদৌ স্বপ্নই থেকে যাবে কি না- তা নিয়ে চিন্তাতেই দিন কাটছে তাদের। অন্যদিকে সদরের আগদিঘা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী রোকসানা আক্তার মীমের বাবা আব্দুল কুদ্দুস গাজী দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত। তিনি কোনো কাজ-কর্ম করতে পারেন না। তিন বোনের মধ্যে মীম বড়। মাজরিনা বেগম বিভিন্ন কাজ করে মেয়েকে এতদূর নিয়ে আসলেও এখন আর পারছেন না। তাই টাকার অভাবে মেধাবী মীমকে তার বাবা-মা বিয়ে দিতে চান। মীম চায় পড়াশোনা চালিয়ে ডাক্তার হতে। তাদের মতো গরিব অসহায় মানুষের পাশে সমাজের কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দাঁড়ালে মুন ও মীমের শিক্ষাজীবন অব্যাহত থাকতে পারে। নইলে অকালেই ঝরে পড়বে দুই অদ্যম মেধাবীর আশা।