ময়মনসিংহে প্রি-পেইড মিটার নিয়ে গ্রাহকদের অসন্তুষ্টি

প্রকাশ | ১৬ মে ২০২৪, ০০:০০

ময়মনসিংহ বু্যরো
ময়মনসিংহ নগরীতে প্রিপেইড মিটারের নানা ভোগান্তি নিয়ে অংশীজনদের মুখোমুখি হয়েছেন বিদু্যৎ বিভাগের কর্মকর্তারা। বুধবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জেলা বিদু্যৎ পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী। প্রিপেইড মিটার নিয়ে গ্রাহকদের নানা অসস্তুষ্টি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়, জনউদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু, সিপিবি'র সভাপতি অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিলস্নাত, নাগরিক আন্দোলনের অ্যাডভোকেট শিব্বির আহমেদ লিটন, সাংবাদিক নিয়ামুল কবীর সজল, নারী ফোরামের আহ্বায়ক সৈয়দা সেলিমা আজাদ, ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী, রাইস মিল সমিতির সভাপতি লিলুর রহমান, শিক্ষক আনোয়ারুল কবীর প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রিপেইড মিটার গ্রাহকের ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলেছে। টাকা লোড করতে গ্রাহককে ২০ থেকে ৩২০টি ডিজিট চাপতে হয়। টাকা লোড করার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত বিল কেটে নেওয়া হচ্ছে। টাকা শেষ হলেই বিদু্যৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গ্রাহকের বিদু্যৎ লোড সম্পর্কে ধারণা না থাকায় বিল বেশি যাচ্ছে। এসময় গ্রাহকের নানা অভিযোগের জবাব দেন পিডিবি'র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসীম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদু্যৎ বিতরণ বিভাগ-২) ইঞ্জিনিয়ার ইন্দ্রজিত দেবনাথ ও নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদু্যৎ বিতরণ ও বিক্রয় বিভাগ-২) ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত রায়। তারা বলেন, প্রিপেইড মিটার জনগণের কল্যাণে স্থাপন করা হচ্ছে। এটি সরকারের প্রকল্প। প্রিপেইড মিটারে টাকা লোড দিতে বাটন চাপাচাপি নিয়ে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে স্বীকার করে বিদু্যৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলে উপস্থাপন করা হয়েছে। গরমকালে গ্রাহকের লোড বেশি হলে (৩ কিলোওয়াট থেকে ৮ কিলোওয়াট) আবেদনের মাধ্যমে শীত মৌসুমে লোড কমানোর সুযোগ রয়েছে।