বালি উত্তোলনে হুমকির মুখে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

প্রকাশ | ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

ডুমুরিয়া (খুলনা) সংবাদদাতা
বোরিং করে বালি উত্তোলনের ফলে খুলনার ডুমুরিয়ায় টিয়াবুনিয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। একই সাথে লবণ পানির প্রভাবে নষ্ট হচ্ছে জমির উর্বরতা। বালি ব্যবসায়ী প্রভাবশালী হওয়াতে ভয়ে কৃষকরা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। এদিকে রোববার ওয়াপদা কর্তৃপক্ষ বালির বেড বন্ধসহ ওয়াপদা ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ জারি করেছেন। জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া গ্রামের মাসুম শেখ ও রেজোয়ান শেখ তাদের জমি বালির বেড করার জন্য ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে লিজ দিয়েছে। লিজগ্রহীতা ২৭/২ নম্বর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একাধিক স্থানে বোরিং করে বালি উত্তোলন করছে। সালতা নদীতে বলগেট জাহাজে নিয়ে আসা বালি ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে উত্তোলন করে তা ১২ ইঞ্চি পিভিসি পাইপ দিয়ে দুটি বেডে উঠানো হচ্ছে। ওয়াপদার তলদেশে ৩টি বোরিং করা হয়েছে। একটি পাইপ দিয়ে বালি আসছে এবং দুটি দিয়ে পানি বের হচ্ছে। এদিকে বালির বেড করায় হুমকিতে পড়েছে ফসলি জমি। উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে কৃষিজমি পস্নাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর কৃষিজমিতে লবণ-পানি প্রবেশ করলে ফসলের বড় ধরনের ক্ষতি হবে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও হাসনাতুজ্জামান বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ বোরিংয়ের খবর পেয়েছি এবং সংশ্লিষ্ট ওই বালির বেড মালিকদেরকে ওয়াপদার ক্ষতিপূরণ চেয়ে তিন দিনের মধ্যে বেড অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।