অবশেষে বয়স্কভাতার কার্ড পেলেন শতবর্ষী মইজউদ্দিন

প্রকাশ | ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

শেরপুর প্রতিনিধি
শতবর্ষী বৃদ্ধ কৃষক মইজউদ্দিন। শেরপুর সদর উপজেলার চরজঙ্গলদি গ্রামের ফয়দালি শেখের ছেলে। ব্রিটিশ শাসন দেখেছেন। পাকিস্তান আমলের ২৪ বছরের শোষণের কথাও তার মনে আছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্ত্রী সন্তান নিয়ে সুখেই ছিলেন। কিন্তু পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া কৃষি জমি আস্তে আস্তে কমতে থাকে। এক পর্যায়ে নিজের পুত্র-কন্যাদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে দেয়ায় বসত ভিটে ছাড়া এখন নিজের বলতে আর কিছুই নেই। তিন যুগ ধরে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন বৃদ্ধ মইজউদ্দিন। বয়সের ভারে শরীর আর চলে না। নিজে কাজ করতে পারেন না। ছেলে-মেয়েরাও বাবাকে দেখেন না। জীবন সায়াহ্নে এসে তিন বেলা পেট ভরে খাওয়ার মত সামর্থ্য নেই তার। একটি বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য দ্বারে দ্বারে হাত পেতেছেন তিনি। ভোট এলে চেয়ারম্যান-মেম্বার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু ভোট শেষ হওয়ার পর কেউ কথা রাখেনি। অনেক চেষ্ট করেও সমাজ সেবা অধিদপ্তরে গিয়ে কর্মকর্তার দেখা মেলেনি। এভাবে মইজউদ্দিন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত যখন, ঠিক তখনি জানতে পারেন জেলা প্রশাসক। পরে ২১ এপ্রিল রোববার জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব তার অফিস কক্ষে বৃদ্ধ মইজউদ্দিনের হাতে তুলে দেন বয়স্কভাতার কার্ড। অনুষ্ঠানে ডিডিএলজি এটিএম জিয়াউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এহসানুল আল মামুন, সদর ইউএনও ফিরোজ আল মামুন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন