দুই পা হারানো রেবেকার সংগ্রাম

প্রকাশ | ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) সংবাদদাতা
রেবেকা খাতুন
ঢাকা সাভারে সেই রানা পস্নাজা ট্র্যাজেডির ছয় বছর কেটে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে দেশের গার্মেন্ট খাতের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা রানা পস্নাজা ধসের স্মৃতিও বিলীন হতে শুরু করেছে। কিন্তু এখনো থেমে থেমে স্বজন হারানো পরিবারগুলোর কান্নার রোল যেমন থামেনি, তেমনি দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বারাই হাট এলাকার বাসিন্দা রানা পস্নাজা ট্র্যাজেডিতে দুই পা হারানো রেবেকা খাতুনের কান্না। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বারাই হাট এলাকার চেয়ারম্যান পাড়ায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দুই পা হারানো রেবেকা খাতুন তার দুই বছরের কন্যা সন্তানকে পাশে রেখে অনেক কষ্ট করে চুলায় রান্না করছেন। রেবেকা খাতুন জানান, রানা পস্নাজা ধসের ঘটনায় আহত শ্রমিকদের মধ্যে সব চেয়ে তিনি বেশিদিন হাসপাতালে ছিলেন। পুরোপুরি সুস্থ হতে প্রায় ১০ মাসের মতো তাকে হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। দুই পায়ে মোট আটবার অস্ত্রোপচার হয়েছে। ওই দুর্ঘটনায় তিনি তার মাসহ পরিবারের আরও দুইজন হারিয়েছেন। রেবেকা খাতুন বলেন, রানা পস্নাজা ধসের দুই বছর পূর্বে পছন্দ করে মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক যুবককে বিয়ে করেন তিনি। এরপর রানা পস্নাজা ধসে মোস্তাফিজুর আর রেবেকার সুখের সংসার লন্ডভন্ড হয়ে যায়। রেবেকা খাতুন জানান, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন। সেটি স্থায়ী আমানত হিসাবে ব্যাংকে আছে। সেই টাকা দিয়ে কোনোমতে তাদের সংসার চলে। তার দেখাশোনার জন্য তার স্বামী বাহিরে কাজ করতে পারেন না।