ভাঙন আতঙ্কে শতাধিক পরিবার

প্রকাশ | ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা
পলাশবাড়ীর কিশোরগাড়ী করতোয়া নদীভাঙনের আশঙ্কায় শতাধিক পরিবার -যাযাদি
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের কিশোরগাড়ী উত্তরপাড়া, বালুপাড়া, সুলতানপুর ঘাট, চকবালা, মুংলিশপুর কুমারপাড়ায় করতোয়া নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে শতাধিক পরিবার। ভাঙন আতঙ্ক নিয়ে দিনাতিপাত করছেন পরিবারগুলো। মঙ্গলবার সরেজমিন পরিদর্শনে কিশোরগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা করিম উলস্নাহর ছেলে সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে বন্যায় ভাঙনের শিকার হচ্ছেন ওই এলাকার মানুষ। ইতোপূর্বে ফসলি জমিসহ অসংখ্য বসতবাড়ী করতোয়া নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। বর্তমানে ওইসব এলাকার শতাধিক পরিবার করতোয়া নদী ভাঙন হুমকির মুখে পড়েছে। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে ভাঙন আশঙ্কায় দিনাতিপাত করছে। সুলতানপুর ঘাট এলাকার এন্তাজ আলীর ছেলে সাহারুল ইসলাম জানান, ওইসব এলাকার শতাধিক পরিবারের বসতভিটা আর ভাঙনের মধ্যে দুরত্ব মাত্র ১০ থেকে ১২ ফুট। তাছাড়ও মুংলিশপুর কুমার পাড়ায় বসতঘর থেকে মাত্র ৫ ফুট দুরেই করতোয়া নদী এবং সামনে রয়েছে আখিরা নদী। দ্রম্নত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে আসছে বন্যা-বর্ষায় এলাকাটি নদীগর্ভে বিলিন হওয়ায় সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। বালুপাড়া এলাকার করিম উলস্নাহর ছেলে সাইফুল ইসলাম জানান, এলাকার মানুষের মাঝে নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারানোর ভয় থাকলেও বসতভিটা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার আর্থিক সামর্থ অনেকের নেই। অসহায় পরিবার গুলোর মাথা গোঁজার শেষ আশ্রয়টুকু হারালে তারা কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেবে? তাই চরম দুশ্চিন্তা ও হতাশায় তারা দিনাতিপাত করছে। উত্তর পাড়ার আব্বাস আলীর ছেলে তৌহিদুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন সময়ে এলাকার জনপ্রতিনিধিরা নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, এমন প্রতিশ্রতি দিলেও অদ্যাবধি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই। কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিন্টু জানান, ওই এলাকার তথ্য প্রতিবেদন আকারে পানি উন্নয়ন বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত এলাকায় ভাঙন রোধে দ্রম্নত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।