ফরিদপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার

বগুড়ায় জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশ | ২০ জুন ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
বগুড়ায় জোরা খুনের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে ফরিদপুরের মধুখালীতে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছের্ যাব। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত খবর- স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া জানান, বগুড়ায় শহরের নিশিন্দারা চকরপাড়া এলাকায় ঈদের রাতে নোমান আহম্মেদ শরিফ শেখ (১৮) ও রুমন (১৭) নামে দুই যুবক খুন হয়েছেন। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলি হয়। ঘটনার সময় নিহতদের সহযোগী হোসাইন ওরফে বুলেট (১৮) নামে আরেক যুবক পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। সে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কয়েকটি গুলির খোসা উদ্ধার করে। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে বগুড়া মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠুসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছের্ যাব ও পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া অন্যরা হলো- সৌরভ (২৬), নাঈম হোসেন (২৮) ও আজবীন রিফাত (১৯)। আলোচিত এই জোড়া খুনের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাসহ ১৩ জনের নাম উলেস্নখ করে অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার গ্রেপ্তারদের বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করার পর তাদের জেল-হাজতে পাঠান হয়। বগুড়ার পুলিশ সুপার প্রাপ্ত সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুরের মধুখালীতে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছের্ যাব। বুধবার ভোরে মাগুরার শ্রীপুর থানার নাকোল এলাকা থেকে সোহান (২৫) নামের আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোহান মধুখালীর পশ্চিম গোন্দারদিয়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। তাকে মধুখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র্ যাবের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মধুখালী উপজেলার এক স্কুল শিক্ষার্থী ২৮ মে সকাল ৯টার দিকে স্কুলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়। বিকালে স্কুল ছুটি হওয়ার পরও সে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। কিন্তু কোথাও তার হদিস না পেয়ে মধুখালী থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তার বাবা। একপর্যায়ে ২ জুন মধুখালীর একটি বাজারে মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে স্বজনরা জানতে পারেন, আসামি তুহিন অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তির সহযোগিতায় তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পায়, একটি কক্ষের ভেতরে সোহান ও অন্তর অবস্থান করছে। তাকে কক্ষের ভেতর আটকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে তুহিন, সোহান ও অন্তর। মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয় স্বজনরা। অপহরণ করে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে সোহান, তুহিন, অন্তরসহ পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন কিশোরীর বাবা। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে আত্মগোপনে চলে যায় আসামিরা। র্ যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার জানান, আসামি সোহান ওরফে টেরা সোহানকে মাগুরা জেলার শ্রীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে মধুখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।