চাঁদপুর বড়স্টেশন তিন নদীর মোহনায় ভিড় করেছেন দর্শনার্থীরা -যাযাদি
কোরবানির আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ঈদের দিন বিকাল থেকে চাঁদপুর বড় স্টেশন তিন নদীর মোহনায় বিনোদন কেন্দ্রে ভিড় করেছেন দর্শনার্থীরা। পরিবার-পরিজন ও প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা। শুধু চাঁদপুর নয়, জেলার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকেও দর্শনীয় এই স্থানে ঘুরতে এসেছেন অনেকেই।
ঈদ আনন্দ উদযাপনে কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে, কেউ বা প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে। আবার বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যাও কম নয়। স্মৃতির পাতায় কেউ তুলে রেখেছেন ছবি। কেউ বা মেতেছেন আড্ডায়। আবার কেউ কেউ ট্রলার বা নৌকা নিয়ে ঘুরে আসছেন মিনি কক্সবাজার নামে মেঘনার বালুচরে।
বড়স্টেশন মোলহেডে নাগরদোলা এবং চরকি ঘোড়া থাকায় শিশুরা সেগুলোতে চড়ে আরও বেশি আনন্দ পাচ্ছে। বড়রা ইলিশ ভাস্কর্য ও রক্তধারা ভাস্কর্য ছবি তুলছেন। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিতিতে সেখানে সৃষ্টি হয় এক মহামিলন মেলা।
এদিকে প্রতিদিন ট্রেনের ছাদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার দর্শনার্থী আসছেন তিন নদীর মোহনায়। ট্রেনের ছাদ থেকে লাফিয়ে অনেকে হচ্ছেন আহত। প্রতিবছর ঈদের এই সময়ে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে প্রাণহাণির মতো ঘটনা ঘটেছে। ঈদে মানুষের চাপ কয়েকগুণ বেশি থাকায় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
ট্রেনের ছাদে করে আসা যাত্রী হাসান বলেন, ট্রেনের ছিট খালি না থাকায় বাধ্য হয়েই ছাদে উঠতে হয়েছে। এই সময় ভিড় বেশি থাকে, তাই সবাই ছাদে করে আসে। আমরা লাকসাম থেকে বন্ধুরা মিলে এখানে ঘুরতে এসেছি। আবার ট্রেনে করে চলে যাবো।
কুমিলস্না থেকে আসা মাসুম বিলস্নাহ বলেন, চাঁদপুর তিন নদীর মোহনার কথা আগে অনেক শুনেছি কন্তু আসার সুযোগ হয়নি। ঈদের ছুটিতে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে আসলাম। এখানে নদীর মনোরম দৃশ্য দেখে যে কারো ভালো লাগবে।
ঢাকা থেকে আসা সুলতানা রহমান বলেন, 'ঈদের ছুটিতে সন্তানদের নিয়ে চাঁদপুরে এসেছি। তার বিনোদনের আশায় নদীর মোহনায় আসা। এখানে শৃঙ্খলার অভাব লক্ষ্য করছি। মোলহেডের এই জায়গাটি যদি আরও উন্নত করা হতো, তাহলে হয়তো দর্শনার্থীরা এখানে এসে আরও বেশি আনন্দিত হতেন।'
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুহসিন আলম জানান, ঈদকে ঘিরে বড়স্টেশন মোলহেডসহ সব বিনোদন কেন্দ্র যেন কোনো বিশৃঙ্খলা বা দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। শহরে টহল টিম সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে।