দুর্গাপুরে অজগরের ছবি দিয়ে রাসেলস ভাইপারের গুজব!

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০২৪, ০০:০০

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
দেশব্যাপী এখন আতঙ্ক ও আলোচনায় বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার। দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষের মধ্যে এই সাপের আতঙ্ক বিরাজ করছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই সাপ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। কিন্তু এবার নেত্রকোনার দুর্গাপুরেও রাসেলস ভাইপার সাপ দেখা দিয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) গুজব ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার দুপুর থেকে কয়েকটি ফেসবুক আইডিতে দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের ফেচিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মেলার ছবি ও লেখা প্রচারিত হয়। এসব পোস্ট দ্রম্নত ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুকে এসব ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ছড়িয়ে পড়া লেখায় দেখা যায় (হুবহু তুলে ধরা হলো), 'রাসেল ভাইপার এবার দেখা মিলল দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়ন ফেচিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে। রমজান নামক এক ব্যক্তির মাছ ধরার জালে আটকা পরার পর তিনি সাপটিকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ অঞ্চলের সর্বস্তরের জনগণকে সাবধানে চলাচল করার সতর্কবাণী জানানো হলো।' বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পরিবেশ ও বন্য প্রাণী রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বলছে, ফেসবুকে ছড়ানো মৃত রাসেলস ভাইপার নামের সাপটি মূলত একটি অজগর সাপের ছবি। অন্য একটি ছবি রাসেলস ভাইপার সাপের হলেও ঘটনাটি গুজব। উপজেলা প্রশাসন বলছে, গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফেচিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের গ্রামে রাসেলস ভাইপার সাপ ধরা পড়েছে এমন ঘটনা কেউ শোনেননি। স্থানীয় পরিবেশ ও বন্য প্রাণী রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি রিফাত আহমেদ জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাফেজ আব্দুল মালেক নামের একটি ফেসবুক আইডির পোস্টে রাসেলস ভাইপারের হত্যার বিষয়টি নজরে এলে যাচাইবাছাই করে দেখা গেছে পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও গুজব। মূলত এটি একটি অজগর সাপ। দুর্গাপুরে এখন পর্যন্ত রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মেলেনি। গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। এনিয়ে জানতে চাইলে চন্ডিগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক আলম সরকার বলেন, 'আমি স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, ওই এলাকায় রাসেলস ভাইপার সাপ ধরার কথা সত্যি না। ঘটনাটি গুজব।' এ প্রসঙ্গে দুর্গাপুর ইউএনও এম রকিবুল হাসান জানান, দুর্গাপুরে রাসেল ভাইপার সাপের দেখা মেলার ঘটনাটি সঠিক নয়। যারা এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে তাদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।