বন্যাদুর্গতদের ৬ মাস খাদ্য সহায়তাসহ পুনর্বাসন করতে হবে

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০২৪, ০০:০০

সিলেট অফিস
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, 'আমরা সরকারের কাছে আগেও দাবি জানিয়েছি, এখনো জানাচ্ছি- বন্যাদুর্গত মানুষদের অন্তত ছয় মাস খাদ্য সহায়তা দিয়ে পুনর্বাসন করতে হবে। পাশাপাশি সুরমা-কুশিয়ারাসহ সিলেটের সব নদনদী খনন করতে হবে।' শনিবার দিনভর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের ইন্নাতালিপুর, মির্জানগর ও মানিকপুর এলাকায় সিলেট জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ৫৩০টি পানিবন্দি বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থসহায়তা প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, 'পাহাড়ি ঢল আর বিরামহীন বৃষ্টিতে সিলেটে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি বাড়ার সঙ্গে মানুষের আর্তনাতও বাড়ছে। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মানুষ বিরামহীন ছুটে চলছে। মানুষের ঘরবাড়ি, ক্ষেতখামার সব ভেসে গেছে। সরকার আজ জনগণের পাশে নেই। বিএনপি অঙ্গসংগঠনের সব নেতাকর্মী নিয়ে সাধ্যমত বানভাসিদের পাশে থাকার চেষ্টা করছে। বানবাসিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিগত ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় আমরা বার বার সুরমা-কুশিয়ার নদীসহ সব নদনদী খনন করার দাবি জানিয়েছিলাম, পাশাপাশি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার দাবি জানাই। কিন্তু সরকার এতে কর্ণপাত করেনি। উল্টো সিলেট অঞ্চলের পানি নিষ্কাসন প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে হাওড়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। অবিলম্বে সুরমা-কুশিয়ারাসহ সব নদনদী খনন করে সিলেটবাসীকে বন্যা থেকে রক্ষা করার উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় প্রতিবছরই বার বার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক তাজরুল ইসলাম তাজুল ও কোহিনুর আহমদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম তুরন, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আকবর হোসেন, সদস্য আশরাফুল আলম বাহার, ওজি মোহাম্মদ কাউসার, লিটন আহমদ চৌধুরী, পাবেল রহমান, অলিউর রহমান, আরিফ চৌধুরী, আব্দুল মজিদ, এনামুল আজিজ মুন্না, আব্দুস সালাম টিপু, এনামুল কবির সুহেল, আব্দুস সামাদ লস্কর মুনিম, রুবেল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন রাহেল, আবুল কাশেম, রাসেল আহমদ, জুবায়ের আহমদ শিমুল, হীরা মিয়া, রাজন আহমদ প্রমুখ।