১৯০০'র শাসনবিধি বাতিল হলে অস্তিত্ব হুমকিতে পড়বে পার্বত্য চট্টগ্রাম -সন্তু লারমা

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০২৪, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, রাঙামাটি
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় ওরফে সন্তু লারমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ১৯০০ সালের শাসনবিধি বাতিলের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। রাষ্ট্রের একটি অংশ এটি বাতিলের জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। শাসনবিধি বাতিলের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে না পারলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব আরও হুমকির মধ্যে পড়বে। সে জন্য কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এই আন্দোলনে হেডম্যান (মৌজা প্রধান) এবং কারবারিদের (গ্রামপ্রধান) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতো হবে। গ্রাম ও মৌজাবাসীকে নিয়ে এই আন্দোলনে সামিল হতে হবে। গত শুক্রবার সকালে রাঙামাটি শহরের রাজদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সিএইচটি হেডম্যান সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সন্তু লারমা। তিনি আরও বলেন, আগামী ২৬ জুলাই পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০'র গুরুত্বপূর্ণ ধারা-উপধারা বাতিল সুপারিশের ওপর হাইকোর্টের আপিল বিভাগে শুনানি হবে। এই শাসনবিধি বাতিলের ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। ১৯০০ সালের শাসনবিধি বাতিল হলে পার্বত্য চুক্তি, জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদের আইন অস্তিত্বের হুমকিতে পড়বে। তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে যে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদন হয়েছিল, সেটা যেন মানুষ ভুলে যায়, সে জন্য শাসকগোষ্ঠী তথা সরকার ষড়যন্ত্র করছে। এর অংশ হিসেবে ২৬ বছরেও চুক্তি বাস্তবায়ন করা হয়নি। বরং চুক্তিকে ভুলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সভাপতি কংজরি চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- চাকমা সার্কেল চিফ রাজা দেবাশীষ রায়, মং সার্কেল চিফ সাচিংপ্রু চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য সুবির কুমার চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, সাধারণ সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমা ও হেডম্যান জয়া ত্রিপুরা। সম্মেলনের সভা শেষে চিংকিউ রোয়াজাকে সভাপতি, শান্তি বিজয় চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্যর তিন বছর মেয়াদি কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণা করেন সন্তু লারমা।