শর্তসাপেক্ষে খুলেছে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০২৪, ০০:০০

ইমরান হোসেন সুমন, গোয়াইনঘাট (সিলেট)
পর্যটক নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি এবং আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকা সাপেক্ষে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ও রাতারগুল পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। রোববার উপজেলা পর্যটন কমিটি পর্যটনকেন্দ্রগুলো চালু করার সিদ্ধান্ত নেন। এর আগে গত শুক্রবার ও শনিবার দুই দফা গোয়াইনঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের একটি দল পর্যটনকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন। তবে জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে নৌ-চলাচলের রুটে যাত্রীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় সব বোট মালিক, নৌ-চালক ও মাঝিদের যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। জাফলংয়ে পিয়াইন নদীর পানির গভীরতা ও স্রোত বিবেচনায় সাঁতার জানেন না এবং ১২ বছরের কম বয়সিদের নিয়ে জাফলং টু্যরিস্ট স্পটে নৌকায় চলাচল করা যাবে না। টু্যরিস্ট পুলিশকে পর্যটনকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিধানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জাফলং নদীর পানির পরিমাণ ও স্রোত বিবেচনায় গত শুক্রবার ও শনিবার পর্যটন স্পট চালু করার জন্য পর্যটন ব্যবসায়ী, নৌকা চালক-মালিক, টু্যরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ এবং উপজেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। টু্যরিস্ট স্পটে পর্যটক, টু্যর অপারেটর ও নৌকার মাঝি সবাইকে উপরোক্ত নির্দেশনা প্রতিপালন নিশ্চিত করার শর্তে রোবাবর দুপুর ১টা থেকে জাফলং টু্যরিস্ট স্পট, রাতারগুল স্পট চালু করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, 'উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো শর্তসাপেক্ষে রোববার দুপুর থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটক, টু্যর অপারেটর ও নৌকার মাঝিসহ সবাইকে অবশ্যই নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।' পর্যায়ক্রমে বন্ধ থাকা সিলেটের বাকি পর্যটনকেন্দ্রগুলোও খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান। প্রসঙ্গত, বন্যার পানি বিপৎসীমার ওপর প্রবাহিত হওয়ায় গত ১৭ জুন সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এর আগেও ৩০ মে বন্যার জন্য সিলেটের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। পরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ৭ জুন থেকে খুলে দেওয়া হয়েছিল পর্যটনকেন্দ্রগুলো।