পোস্ট মাস্টারের প্রতারণা
দুই লাখ টাকা ফেরত পাচ্ছেন রাজশাহীর পারুল
প্রকাশ | ২৪ জুন ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
রাজশাহীর তানোরের এক পোস্ট মাস্টারের প্রতারণার শিকার পারুল বেগমকে তার গচ্ছিত দুই লাখ টাকা ফেরত দেবে ডাক অধিদপ্তর। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে অধিদপ্তর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রোববার ডাক অধিদপ্তরে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে 'তানোর পোস্ট অফিসে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় করণীয়' সংক্রান্ত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা গেছে, ডাক অধিদপ্তরের তানোর উপজেলা পোস্ট অফিসে পরিবার সঞ্চয়পত্রে দুই লাখ টাকা জমা রেখে টাকা ফেরত না পাওয়ায় পারুল বেগম নামে এক নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। বিষয়টি জুনাইদ আহমেদ পলক অবগত হলে ডাক অধিদপ্তরের কাছে ব্যাখ্যা চান।
ডাক অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, পারুল বেগম তানোর উপজেলা ডাকঘরে দুই লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেছিলেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুনরায় লাভের আশায় উপজেলা পোস্ট মাস্টার মোহাম্মদ মোকসেদ আলীর কাছে দুই লাখ টাকা জমা রেখেছিলেন এবং মাসে মাসে যথারীতি আগের মতোই মুনাফা নিতেন।
কিন্তু দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি দুই লাখ টাকা জমা রাখার সময় অফিসিয়ালি কোনো সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেননি অথবা পোস্ট অফিসে এফডিএসবিতে টাকা জমা রাখেননি। পারস্পরিক বিশ্বাসে আর্থিক লেনদেন করেছেন মাত্র। যেহেতু পারস্পরিক বিশ্বাসে টাকা জমা রেখেছেন, সেক্ষেত্রে এর দায় ডাক বিভাগের ওপর বর্তায় না।
তা সত্ত্বেও প্রতিমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট পোস্ট মাস্টারের কাছ থেকে ব্যক্তিগত লেনদেনের টাকা আদায়ে পারুল বেগমকে সহযোগিতাসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা পোস্ট মাস্টারের বিরুদ্ধে অনৈতিক আর্থিক লেনদেনে জড়ানোয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত রোববার পর্যালোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের তানোর ছাড়াও সারাদেশে ঘটা এমন অসঙ্গতিগুলো খুঁজে বের করে প্রতিহত করা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন।
একইসঙ্গে সরকারি রশিদ ছাড়া যেন কেউ কোনো টাকা লেনদেন না করেন, সেই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, 'তানোরের পারুল বেগমের কান্না ডাক বিভাগের দায়বদ্ধতার বিষয়। আর কোনো পারুল বেগমের কান্নার কারণ যেন ডাক বিভাগ না হয়। তাই আমাদের এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ডাক বিভাগের সেবার মান বৃদ্ধি ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশের নাগরিকদের নির্বিঘ্ন সেবা দিতে চাই আমরা।