শাহজাদপুরে বর্ষার পানিতে আকর্ষণ বাড়াচ্ছে রাউতারা স্স্নুইসগেটের ঝরনা

সৌন্দর্য উপভোগ করতে দর্শনার্থীদের ভিড়

প্রকাশ | ০৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

এম এ জাফর লিটন, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ)
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বড়াল নদীর তীরে রাউতারা স্স্নুইসগেটের ঝরনায় তরুণ-তরুণীদের উলস্নাস -যাযাদি
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বড়াল নদীর পানি রাউতারা স্স্নুইসগেট দিয়ে গড়ছে। আর সেই পানিতে হই-হুলেস্নাড় করছেন তরুণ-তরুণীরা। এবার স্থানীয় দর্শনার্থী ও পর্যটকের কাছে নতুন আবিষ্কৃত রাউতারা স্স্নুইসগেটের এ মায়াবী ঝরনা ঘিরেই আকর্ষণ দিন দিন বাড়ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে স্স্নুইসগেটের মায়াবী এই ঝরনা উপভোগ করতে সকাল-বিকাল ছুটে আসছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। সোস্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল বড়াল নদীর অববাহিকায় শাহজাদপুরের রাউতারা স্স্নুইসগেটের মায়াবী ঝরনা। আর তাইতো তরুণ-তরুণীদের কাছে এত আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে। নতুন আবিষ্কৃত এই রাউতারা স্স্নুইসগেট দিয়ে প্রবাহিত ঝরনা দেখার জন্যই প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমছে। সত্যিই চমৎকার ঝরনাধারা সচোখে না দেখলে অনুভব করা যাবে না। তাইতো মায়াবী এই ঝরনাকে ঘিরে ভিড় জমিয়েছেন তরুণ-তরুণীরা। তারা ঝরনাটি উপভোগ করার পাশপাশি পার্শ্ববর্তী বড়াল নদী ও বিস্তীর্ণ বাথানভূমিও দেখছেন। স্থানীয়রা জানান, উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল আর বর্ষার পানিতে টইটুম্বুর হয়েছে শাহজাদপুরের বড়াল নদী। আর বড়াল নদীর রাউতারা স্স্নুইসগেটের গেট খুলে না দেওয়ায় কপাটের বিভিন্ন ফাঁক দিয়ে উত্তর কোণে প্রবাহিত হচ্ছে ঝরনার মতো পানি। আর তাই দেখার জন্য ভিড় করছেন তরুণরা। কেউ মাছ ধরছেন, কেউ গোসল করছেন। ঈদুল আজহার পরদিন থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এই স্স্নুইসগেটের ঝরনা সোস্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হওয়ায় স্থানীয় দর্শনার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চল থেকেও তরুণ-তরুণীরা ছুটে আসছেন। এ সুযোগে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নানা রকম খাদ্যের দোকান দিয়েছেন। শিশুদের বিনোদনের জন্য দোলনা, ট্রেন রাইডারসহ নানা সরঞ্জাম স্থাপন করায় রাউতারা স্স্নুইসগেট আকর্ষণীয় বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। রাউতারা ঝরনা উপভোগ করতে আসা কলেজ ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা জানান, 'অপরূপ সৌন্দর্য। বড়াল নদীর তীরে স্স্নুইসগটের পানি ঝরনার মতো ঝরছে, আমরা পাশে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছি। এক কথায় অসাধারণ।' স্কুল শিক্ষক আব্দুর রহমান জানান, 'স্বপরিবারে এই রাউতারা স্স্নুইসগেটের ঝরণা দেখতে এসেছি। সঙ্গে বড়াল নদী ও বিস্তীর্ণ বাথানভূমির নৈসর্গিক দৃশ্য খুব ভালো লাগছে।'