পলস্নীবিদু্যতের অতিরিক্ত বিল নিয়ে বিপাকে গ্রাহক

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের বোদায় লোডশেডিংয়ের মধ্যেও পলস্নীবিদু্যতের অতিরিক্ত বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কয়েক হাজার গ্রাহক। গ্রাহকদের অভিযোগ, বিল নিয়ে অফিসে ঘোরার পরও কোনো সমাধান দিতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। আরও অভিযোগ উঠেছে, প্রতিটি বিলে অতিরিক্ত টাকা যোগ করে দেওয়া হয়েছে। বিলের কপিতে বিদু্যৎ ব্যবহারের বিপরীতে ভ্যাট, বিলম্ব মাশুল যোগ করেও চূড়ান্ত বিলের সঙ্গে গরমিল পাওয়া যাচ্ছে। এমন বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। উপজেলার কয়েকটি গ্রামে গেলে স্থানীয়রা এই অভিযোগ করেন। জানা যায়, এই উপজেলায় তীব্র তাপদাহের মধ্যে দিন ও রাতে অতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে। ঠিকমত বিদু্যৎসেবা না পেলেও দেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত টাকার বিল। এক মাসের ব্যবধানে গ্রাহকদের বিদু্যৎ বিল এসেছে দুই থেকে তিন গুণ। স্থানীয় নুর ইসলাম, আব্দুল বাছেদসহ অনেকেই জানান, 'বিদু্যৎ ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা গ্রাহক, সুবিধা চাইব। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরও তারা আমাদের সুবিধা দিতে পারছে না। বিভিন্ন চার্জ দিয়েও আমরা ভোগান্তিতে। এখন নতুন ভোগান্তি হয়ে উঠেছে অতিরিক্ত বিদু্যৎ বিল।' জব্বার আলী নামে এক বিদু্যৎ গ্রাহক বলেন, সময় মত থাকে না বিদু্যৎ, যা একটু পাওয়া যায়, এতে দুটি লাইট ও একটি ফ্যান চলে। এরপরও বিলে অনেক টাকা উলেস্নখ করা হয়েছে। গত মাসে তার ২০০ টাকার মতো বিল এলেও এবার ৬০০ টাকা দেখানো হয়েছে। আব্বাস আলী নামে আরেক বিদু্যৎ গ্রাহক বলেন, অতিরিক্ত বিলের বিষয় নিয়ে দিনের পর দিন বিদু্যৎ অফিসে ঘুরেও প্রতিকার পাচ্ছেন না। পরে বাড়তি টাকাসহ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। ঠাকুরগাঁও পলস্নীবিদু্যৎ সমিতির বোদা ুউপ-কেন্দ্রের এজিএম জয়নুল হক বলেন, 'অনেক সময় আমাদের কারিগরি সমস্যায় অতিরিক্ত বিল হতে পারে। যেহেতু এটি একটি যান্ত্রিক জিনিস, অনেক সময় সমস্যা হয়ে থাকে। গ্রাহকরা অতিরিক্ত বিলের বিষয়টি জানালে আমরা সেই মিটার পরিবর্তন করে দেই। আর আমাদের যারা মাঠপর্যায়ে গিয়ে রিডিং সংগ্রহ করেন, তারা অফিসিয়ালি সংগ্রহ করে আমাদের দেন। সিডিউল করে দেওয়া আছে, সে অনুযায়ী তারা কাজ করেন।' তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এখানে সন্ধ্যায় বিদু্যতের চাহিদা ১১ মেগাওয়াট। কিন্তু পিসিবির থেকে পাই সর্বোচ্চ পাঁচ মেগাওয়াট। এ জন্য লোডশেডিং শুরু হয়, তখন দেখা যায়, সিস্টেমের চাহিদা আরও বেড়ে ১৪ তে চলে যায়। এতে দেখা যাচ্ছে গ্রাহককে আমি এক ঘণ্টা বিদু্যৎ দিলে, পরবর্তী এক থেকে দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এটা সিডিউল অনুযায়ী আমরা গ্রাহককে সেবা দিচ্ছি।'