খানাখন্দে বেহাল ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ অংশ

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে খানাখন্দে বেহাল ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক -যাযাদি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরশহরে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে ৩ কিলোমিটার এলাকা জুরে মহাসড়ক খানাখন্দকে পরিপূর্ণ। সড়কের প্রায় সর্বত্রই পিচ ও খোয়া উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সেসব গর্তে পানি জমে ছোট ছোট ডোবার সৃষ্টি হয়েছে। এই মহাসড়কে গাড়ি চলে ধীরগতিতে, হেলে দুলে। মাঝে মাঝে খানাখন্দক ও গর্তের মধ্যে ভাঙ্গা ইট দিয়ে জোড়াতালি দেওয়ায় সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে প্রতিনিয়ত চলাচল করে কয়েক শতাধিক বাস, ট্রাক, লরি, কার্ভাড ভ্যান, কার, মাইক্রো, সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন রকম যানবাহন। সড়কের এ বেহাল দশায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী, চালকসহ এলাকাবাসীকে। মাঝে মধ্যে যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ পৌরশহরের পান্থা পাড়া দক্ষিণ বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের সামনে, হাজি ক্লিনিক, কৃষি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, কল্পনা মার্কেট, বনফুল হোটেল, হাইস্কুল মার্কেট, রাজমতি মার্কেট, জাহানারা মার্কেট, সোনালী ব্যাংক ও রহমানিয়া আবাশিক হোটেলের সামনেসহ প্রায় ৩ কি.মি. এলাকা জুড়ে বৃষ্টির কারণে পিচ ও খোয়া উঠে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। কৃষি ব্যাংক ও হাইস্কুল মার্কেটের সামনে সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কৃষি ব্যাংকের পাশের বাড়ির মামুন বলেন, এ সড়ক যেন 'মরার উপর খাড়ার ঘা' হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরের ভেতর ২-৩ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ। যানবাহন চলাচল করছে ধীরগতিতে, হেলেদুলে। যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বাস চালক আনিসুর বলেন, গোবিন্দগঞ্জ শহরের ভেতর মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দের কারণে বাস চালাতে সমস্যা হয়। ধীর গতিতে গর্তের পাশ দিয়ে একে বেকে গাড়ি চালাতে হয়। এতে করে চলাচলে সময় বেশি লাগছে। অটোচালক শামছুল মিয়া বলেন, খানাখন্দ ও উঁচু-নিচুর কারণে অটো চালাতে কষ্ট হয় এবং প্রায়শই অটোর স্প্রিং ভেঙে যাচ্ছে। দ্রম্নত গোবিন্দগঞ্জ পৌরশহরের মধ্যে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানের খানাখন্দ সংস্কার করার দাবি সচেতন মহলের। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।