দুপচাঁচিয়ায় ছেলের কোদালের আঘাতে বাবা খুন

চার জেলায় নারীসহ ৪ জনের লাশ উদ্ধার

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
চার জেলায় দুইজন নারীসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে নীলফামারীতে দুই নারী, বগুড়ার ধুনটে শিশু শিক্ষার্থী ও গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে নবজাতকের লাশ উদ্ধার হয়। এদিকে, বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ছেলের কোদালের আঘাতে বাবা খুন হওয়ার খবর মিলেছে। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত- স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ও সৈয়দপুর প্রতিনিধি জানান, নীলফামারীতে পৃথক স্থান থেকে অঞ্জণী রানী ( ৪০) ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার সকালে ডোমারের চিলাহাটি ও সন্ধ্যায় সৈয়দপুরের মিস্ত্রিপাড়া এলাকা থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত অঞ্জণী রানী রায় ডোমারের চিলাহাটির মনসুর আলীর স্ত্রী ও আরেকজনের এখনো পরিচয় মেলেনি। ডোমার থানার ওসি মহশীন আলী বলেন, অঞ্জণী নামে এক গৃহবধূ পারিবারিক কলহের জেরে পরিত্যক্ত গোডাউন ঘরে গলায় দরি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এদিকে, সৈয়দপুর থানার ওসি শাহ আলম বলেন, সন্ধ্যার দিকে শহরের মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় একটি পুকুরে এক নারীর মরদেহ পানিতে ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে মরদেহটি উপরে উঠিয়ে আনেন তারা। পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। কিন্তু এখনো তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, বগুড়ার ধুনটে বড় ভাইয়ের সঙ্গে ইছামতি নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর উম্মে হাবিবা (৮) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার সকালে ধুনট পৌর এলাকার সরকারপাড়া ইছামতি নদী থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। হাবিবা উপজেলার চান্দারপাড়া এলাকার রায়হান সরকারের মেয়ে এবং ধুনট পূর্ব ভরনশাহী কওমী মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকালে হাবিবা বড় ভাই জুনায়েদের (১০) সঙ্গে নদীতে মাছ ধরতে যায়। অসাবধানতাবসত নদীর স্রোতে ডুবে যায় হাবিবা। ধুনট ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নদীতে অভিযান চালিয়েও তার খোঁজ পায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে দেড় কিলোমিটার দূরে সরকারপাড়ায় নদীর কচুরিপানার সঙ্গে শিশুটির মৃতদেহ আটকে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, ঘর থেকে ১৬ দিন বয়সের নবজাতক চুরির ১৮ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশের ডোবার পানি থেকে ওই নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। চুরির ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলা ইউনিয়নের তারাইল গ্রামে। জানা গেছে, বুধবার উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের তারাইল গ্রামের আকাশ বিশ্বাসের স্ত্রী মাধুরী বিশ্বাস ১৬ দিনের নবজাতক শিশুপুত্র অর্ণব বিশ্বাসকে ঘুম পাড়িয়ে গোসল করতে যান। ঘরে ফিরে এসে ছেলেকে দেখতে না পেয়ে চিৎকার করেন। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরিবার কাশিয়ানী থানায় জানায়। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে শিশু অর্ণবের দাদু বরুন বিশ্বাস বাড়ির পাশে ডোবার পানিতে শিশুটির মরদেহ দেখতে পায়। কাশিয়ানী থানার ওসি জিলস্নুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই বোঝা যাবে হত্যাকান্ডের মূল রহস্য। দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ছেলের কোদালের আঘাতে বাবা খুন হয়েছেন। নিহত বাবা কফিজ উদ্দিন (৭০) উপজেলার কইল দক্ষিণপাড়ার মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে। গত বুধবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ নিহত কফিজ উদ্দিনের ছেলে জুয়েল হোসেনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার জুয়েল প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। জানা গেছে, ঘটনার দিন রাতে জুয়েল তার স্ত্রীকে মারধর করছিলেন। এ সময় বাবা কফিজ উদ্দিন মারধর করতে নিষেধ করলে জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাবাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে মাথা বিচ্ছিন্ন করে মাথা থেঁতলে দেন। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ জুয়েলকে গ্রেপ্তার এবং লাশ উদ্ধার করে। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শজিমেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার জুয়েল প্রাথমিকভাবে বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।