হাবিপ্রবির হলে মিলল আরও দেশীয় অস্ত্র

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
হাবিপ্রবি চারটি আবাসিক হলে বুধবার তলস্নাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র -যাযাদি
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ছেলেদের চারটি আবাসিক হলে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের হলভিত্তিক টিম গঠনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তলস্নাশি চালানো হয়েছে। এ সময় দেশীয় অস্ত্র, পেট্রোল বোমা, মদের বোতল, নেশা করার সামগ্রী ও কনডমসহ নানা ক্ষতিকর বস্তু পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুর ২টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তাজউদ্দীন আহমদ হল, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ রাসেল হল (নূর হোসেন হল) ও শেখ রাসেল (এক্সটেনশন হলের) শতাধিক কক্ষে এ অভিযান চালানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার কয়েকটি হল থেকে বিপুল পরিমাণ লোহার পাইপ, রড, রাম দা, হকিস্টিক, চাকু, মদের বোতল, গাঁজা ও গাঁজা খাওয়ার সামগ্রীসহ দেশীয় অস্ত্র ও বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির শেখ রাসেল (নূর হোসেন) হলে ৯৬টি সামুরাই, ২টি হকিস্টিক, ৯২টি রড, ১৫৭টি এস এস পাইপ, ২৫৭টি বাঁশের লাঠি, ৩টি মদের বোতল, ১৬টি হেলমেট, ১টি চেইন, ৪ প্যাকেট কনডম, ৪টি পস্নাস্টিক পাইপ, ৪টি পেট্রোল বোমা এবং কিছু মাদক সামগ্রী পাওয়া গেছে। শেখ রাসেল (এক্সটেনশন) হলে ২৩টি সামুরাই, ৫টি দা, ৪৮টি রড, ৪৫টি পাইপ, ৭টি হকিস্টিক, ২৭টি লাঠি, ১১টি মদের বোতল, ২৩টি হেলমেট, ১টি গাঁজার কল্কি। তাজউদ্দীন আহমদ হল তলস্নাশি করে ৭টি সামুরাই, ২৭টি রড, ১৪৯টি লাঠি, ২টি বাঁশ, ১৯টি পাইপ, ১টি করাত, ১টি পস্নাস, ১টি চেইন, ২টি স্ট্যাম্প, ১টি হকিস্টিক, ১টি মদের বোতল, ১টি কল্কি পাওয়া গেছে। অপরদিকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলে তলস্নাশি করে ৯টি সামুরাই, ৫৫টি এস এস পাইপ, ৪০টি বাঁশের লাঠি, ৩৬টি বাঁশ এবং কাঠের লাঠি, ৭২টি রড এবং পস্নাস্টিকের চিকন পাইপ, ২টি হেলমেট, ১টি ব্যবহারকৃত মদের বোতল, কিছু মাদক সামগ্রী গ্রহণের উপকরণ পাওয়া গেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল তলস্নাশি করে ১৮টি সামুরাই, ৭১টি এস এস পাইপ, ১৮টি বাঁশের লাঠি, ১১৩টি লোহার রড, ১৩টি হকিস্টিক, ১৫টি লাঠি, ৮টি পস্নাস্টিক পাইপ, ২টি হেসকো বেস্নড, ১টি ডেগার, ৫টি মদের বোতল পাওয়া গেছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে অভিযানকালে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন। উদ্ধারকৃত অস্ত্রসহ সব উপকরণ রেজিস্ট্রার মারফতে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। শিক্ষকরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল থেকে এমন অস্ত্র পাওয়া কাম্য নয়। তবে আশা রাখছি তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে তাদের সংশোধন করবে এবং তারাই ভবিষ্যতের তারুণ্যের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং আবাসিক হলগুলোর নিরাপত্তা চাই। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে যেন শান্তি, শৃঙ্খলার অবনতি না করা হয়।