কুমিলস্নায় গুলিবিদ্ধ আইনজীবী কালাম মারা গেছেন

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিলস্না
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত বিএনপিপন্থি আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হসপিটালের আইসিইউতে লাইফ সার্পোটে থাকা অবস্থায় তার মৃতু্য হয়। মৃতু্যর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন। অ্যাডভোকেট আবুল কালাম জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কুমিলস্না শাখার যুগ্ম সম্পাদক এবং কুমিলস্না আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। দলীয় সূত্র ও সহকর্মীরা জানান, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিকালে নগরীর প্রতিটি সড়কে বিজয় মিছিলের পাশাপাশি বেশ সহিংসতা চলে। বিকালে সাড়ে ৪টার দিকে কুমিলস্নার আদালতে হামলার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু, তার ছেলে শাফিউল হক আলভী, আরফানুল হক অবরিন এবং অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী। পরে তারা মাগরিবের নামাজের সময় নগরীর মোগলটুলী এলাকায় পৌঁছলে তাদের ওপর হামলা ও গুলি করা হয়। এতে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ কোমরে গুলিবিদ্ধ হন। অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু এবং তার দুই ছেলের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন। আহত হন আরও ৬/৭ জন আইনজীবী। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে শঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ওই রাতেই কুমিলস্না মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আবুল কালামকে রাজধানীর একটি হাসপাতালের আইসিইউ এবং পরে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে চিকিৎসকরা অ্যাডভোকেট আজাদকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আইনজীবী কাইমুল হক রিংকু বলেন, 'আদালতে সহিংসতা থামিয়ে ফেরার পথে বিনা উস্কানিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর গুলি বর্ষণ এবং ককটেল ছুড়ে। এতে গুলিবিব্ধ হয়ে মারা গেছেন আমাদের সহকর্মী কালাম। এ সময় আমরা অনেকেই আহত হই। তিনি ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি করেন।' রাতে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় বুধবার রাতে তার সহকর্মী জসিম বাদী হয়ে কাউন্সিলর রায়হানসহ ৫ জন এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে তিনি (কালাম) মারা যাওয়ায় মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে তদন্ত হবে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।