আড়াইহাজার থেকে বিলুপ্ত প্রায় 'পালতোলা নৌকা'

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
ছবি: ইন্টারনেট
নায়ায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের মানুষের জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল নদী আর খাল-বিলে বর্ষায় গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী দৃষ্টিনন্দন পাল তোলা নৌকা। যেখানে এক থেকে দেড় যুগে আগেও মেঘনা, হাড়িধোওয়া, ব্রহ্মপুত্র নদ, ছাগলবাঘিনী নদী ও খাল-বিলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে সারি সারি নৌকা। ছোট-বড় এসব নৌকায় ছিল রঙিন পাল। নদীতে এক সময় পালতোলা নৌকা ছিল মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। কোথাও বেড়াতে গেলে অথবা বিয়ের অনুষ্ঠানসহ সকল প্রকার অনুষ্ঠানে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ও এসব নৌকা দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতেন। গত প্রায় ১৫-২০ বছর ধরে এসব পাল তোলা নৌকা আর দেখতে পাওয়া যায় না, যদিও নদী এলাকায় কিছুটা দেখা মেলে মাঝে মধ্যে। বৃহত্তর মেঘনা নদীতে গেলে খাগকান্দা, কালাপাহাড়িয়া এবং বিশনন্দী এলাকায় জেলেদের মাছ ধরার নৌকাগুলো এখনো নদীতে বিদ্যমান। নৌকায় করে জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করতে দেখা যায়। আর খাল-বিল থেকে এসব নৌকায় যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। আড়াইহাজার উপজেলা সদরের বর্তমান আব্বাস মার্কেটসংলগ্ন মেন্ডাতলা ঘাটে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত ও মালামাল টানার জন্য অনেক নৌকা বেঁধে রেখে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যেত। কিন্তু গত ২০ বছর ধরে এ দৃশ্য এখন শুধুই স্মৃতি। বিলুপ্তির পথে গ্রাম-বাংলার লোকসংস্কৃতির অন্যতম ধারক ঐতিহ্যবাহী পালতোলা নৌকা। কিছু কিছু নদীতে পানি থাকায় হাতে গোনা দু-একটা সেই চিরচেনা দৃষ্টিনন্দন পালতোলা নৌকা চোখে পড়লেও পানি কমার সাথে সাথে আর চোখে পড়ে না বলে জানিয়েছেন নৌকার মাঝিরা। স্থানীয়রা জানান, এখন আর পালতোলা নৌকাসহ কোষা নৌকা, ছইবিশিষ্ট নৌকা, গয়না নৌকা. বাইচের নৌকা এসব এলাকায় নেই। উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের নারান্দী গ্রামে তৎকালীন বড় গৃহস্থ সোনালি মিয়ার একটি বাইচের নৌকা ছিল বলে উলেস্নখ করে এলাকার মুরুব্বি চাঁনমিয়া বলেন, বর্ষায় পানি হয় না বলে এখন চলাচল করতে আর নৌকার প্রয়োজন পড়ে না। তা ছাড়া আগেকার দিনে বর্ষায় বিলে প্রচুর পানি ঢেউ খেলত। তখন বিলেও নৌকা বাইচ হতো। এখন বিলে পানিও নাই, নৌকা বাইচও নাই।