টাঙ্গাইলে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

সিরাজগঞ্জে দুই ভাগ্নেকে হত্যা মামাসহ তিনজনের মৃতু্যদন্ড

প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
সিরাজগঞ্জে দুই ভাগ্নেকে হত্যার অপরাধে মামাসহ তিনজনকে মৃতু্যদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এদিকে, টাঙ্গাইলে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধির পাঠানো খবরে বিস্তারিত- সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই ভাগ্নেকে হত্যার অপরাধে চাচাত মামাসহ তিনজনকে মৃতু্যদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৩১ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। সোমবার সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহমেদ আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন। মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চৌহালী উপজেলার কোদালিয়া উত্তরপাড়া মহলস্নার আব্দুর রশিদ মাস্টারের ছেলে নিহতের চাচাত মামা নাসির উদ্দিন (৪০), শহিদুল ইসলাম সাচ্চা (৫০) ও একই মহলস্নার মৃত সমেশ আলীর ছেলে ইসরাফিল হোসেন (৬৫)। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ আব্দুল মতিন। মামলা সূত্রে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম বকুলের সঙ্গে চাচাত বোনের ছেলে মিল্টন হোসেনের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর কাউছারের সঙ্গে বকুল ও তার স্বজনদের জমি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মামা বকুল, মামীসহ স্বজনরা কাউছারকে বেধড়ক মারপিট করেন। সংবাদ পেয়ে কাউছারের বড় ভাই মিল্টনসহ তার স্বজনরা সেখানে গেলে তাদেরও মারপিট করা হয়। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা নেওয়ার পথে কাউছারের মৃতু্য হয়। পরদিন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিল্টনও মারা যান। এ ঘটনায় ৮ ডিসেম্বর নিহতের মা হায়াতুন নেছা বাদী হয়ে চৌহালী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত সোমবার এই রায় দেন। স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল জানান, টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অপরাধে সাব্বির (৩২) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনালের বিচারক কাউসার আহমেদ ওই রায় দেন। দন্ডিত যুবক সাব্বির ধনবাড়ী উপজেলার সিংগাটার গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে। আদালত রায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর পাঁচ আসামি বেকসুর খালাস পান। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল কুদ্দুস জানান, ২০১২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে সাব্বির অপহরণ করেন। ঘটনার দুই দিন পর ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ধনবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এতে দন্ডিত সাব্বিরের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়।