অডিটের নামে শিক্ষকদের হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশ | ১৬ মে ২০১৯, ০০:০০

চাটখিল (নোয়াখালী) সংবাদদাতা
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মিনিস্ট্রি অডিটের নামে নোয়াখালী জেলার চাটখিলের বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের হয়রানি করাসহ মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা শিক্ষিকাকে রাত ১২টা পর্যন্ত বসিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ থেকে ১৩ মে চাটখিলের ভীমপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর জনতা উচ্চ বিদ্যালয়, ছয়ানী টবগা আজম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পাঁচগাঁও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কড়িহাটি উচ্চ বিদ্যালয়, কেশুরবাগ দাখিল মাদ্রাসা, মোহাম্মদপুর আনোয়ার আলী মাদ্রাসা, হীরাপুর আলীম মাদ্রাসা, ইসলামপুর দাখিল মাদ্রাসায় মন্ত্রণালয়ের অডিট করেন পরিদর্শক আলমগীর হাসান। তিনি সকাল ৮টা থেকে টানা রাত ১২টা পর্যন্ত বিদ্যালয়সমূহ অডিট করেন, এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীগণকে তাদের চাকরির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে বসিয়ে রাখেন। ভীমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি) পান্না আক্তার তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকলেও তাকে ডেকে এনে রাত ১২টা পর্যন্ত বসিয়ে রাখা হয়েছে। এভাবে সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং কর্মচারীদের প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র তলস্নাশির নামে পবিত্র রমজানে তাদেরকে ব্যাপকভাবে হয়রানি করা হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের কাগজপত্র নিয়ে তিনি ঢাকায় চলে গেছেন। আসার সময় ভীমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাতেনকে প্রত্যেক শিক্ষক-কর্মচারী থেকে এক মাসের বেতনের টাকা তুলে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসার মৌখিক নির্দেশ দিয়ে চাটখিল ত্যাগ করেন। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শক আলমগীর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের আংশিক সত্যতা স্বীকার করলেও ঘুষদাবির বিষয়টি অস্বীকার করেন।