দাম পড়ে যাওয়ায় ফুল ফেলে দিচ্ছেন চাষিরা

প্রকাশ | ১৯ মে ২০১৯, ০০:০০

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
দাম না থাকায় চাষিরা ফুল তুলে ক্ষেতের সারিগুলোতে ফেলে দিচ্ছে। অনেকে ক্ষেত থেকে তুলে ফেলে দিচ্ছে ঝোপঝাড়ে। সৌন্দর্যবর্ধনে গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধাসহ নামিদামি সব ফুলে সাজানো থাকে অতিথিদের আসন। ফুল ছাড়া বিয়ে অনুষ্ঠান আর সভা-সমাবেশে আগত অতিথিদের মঞ্চ-টেবিল যেন কল্পনাতীত। বাজারে ফুলের দাম না থাকায় সেসব ফুল এখন ধুলোয় লুটপুটি খাচ্ছে। পড়ে থাকছে ঝোপঝাড় এবং রাজপথে। মাঠের পর মাঠ ফুল বাগানের এমন দৃশ্য দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদনকারী এলাকা ঝিনাইদহের। তবে এমন অবস্থা বেশি দিন থাকবে না বলে আশা কৃষকদের। বাজারে চাহিদা থাকলে যে গাঁদা ফুলের ঝোপা ২ শ' থেকে আড়াই শ টাকা পর্যন্ত ঝোপা বিক্রি হয়। সে ফুল এখন ২০ থেকে ৫০ টাকায় ঝোপা বিক্রি হচ্ছে। আর রজনীগন্ধার ১টি স্টিক ৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে পঞ্চাশ পয়সা দরে। জেলার সব থেকে বেশি ফুলের চাষ হয় কালীগঞ্জ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা এলাকায়। কথা হয় সেখানকার কৃষক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। ফুলচাষি আনোয়ার জানায়, এক ঝোপা গাঁদা ফুল জমি থেকে তুলে আড়তদারের কাছে পৌঁছাতে খরচ হয় প্রায় ৪৫ টাকা। সে ফুল এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৫০ টাকা। যে কারণে কৃষকরা ফুল তুলে বিক্রি না করে ফেলে দিচ্ছে। ফুল গাছ থেকে তুল না ফেললে গাছ নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে কৃষকরা গাছ বাঁচাতে ফুল তুলে ঝোপ ঝাড়ে ফেলে দিচ্ছেন। এদিকে কেন ফুল ফেলে দিচ্ছে কৃষকেরা সে খবর জানা নেই কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের। তবে এভাবে ফুল ফেলে দেয়ার কথা শুনে বললেন কৃষকেরা যেন নিরুৎসাহিত না হয়ে পড়ে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন। কর্মকর্তারা বলছেন পরিকল্পিতভাবে ফুলের চাষ করতে হবে। আর ফুল সংরক্ষণ করতে হলে বিশেষায়িত হিমাগারের জন্য সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ নিতে হবে বলেও জানালেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জিএম আব্দুর রউফ।