ফেরি সংকটে ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ

প্রকাশ | ২০ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জে আড়াইহাজারে ফেরি সংকটে মানুষের ভোগান্তি -যাযাদি
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজাকে বিভক্ত করেছে মেঘনা নদী। নদীর এক পাড়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কড়িকান্দি অপর পাড়ে আড়াইহাজারের বিশনন্দী। বাঞ্ছারামপুর ও পাশের নবীনগর উপজেলার ঢাকাগামী মানুষের যাতায়াত বেশি এই সড়ক দিয়ে। নদী পার হলেই রাজধানী ঢাকায় যেতে সময় লাগে মাত্র এক ঘণ্টা। অথচ বিকল্প সড়কে ঢাকায় যেতে সময় লাগে প্রায় তিন-চার ঘণ্টার মতো। দুই পাড়ের যান পারাপারের একমাত্র মাধ্যম ফেরি। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে এই ফেরি দিয়ে পারাপার। \হএই ফেরি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় তিন থেকে চার হাজার যান পারাপার হয়। ফেরিঘাটে ফেরি নিয়ে ভোগান্তিতে আছে হাজারো মানুষ। নিয়মিত দুইটি ফেরি চলার কথা থাকলেও ফেরি সমস্যার কারণে একটি দিয়েই পারাপার করতে হচ্ছে হাজারো গাড়ি। যে একটা আছে সেটারও ইঞ্জিনের সমস্যার কারণে মেঘনা নদীর মাঝেই অর্ধশতাধিক গাড়ি নিয়ে থেমে থাকতে প্রায়ই দেখা যায়। যার জন্য ভোগান্তির শিকার হয় সাধারণ মানুষ। কড়িকান্দি-বিশনন্দী ফেরিঘাট দিয়ে প্রতিদিন নবীনগর ও কুমিলস্নার হোমনা, তিতাস, মেঘনা, মুরাদনগর আরও বিভিন্ন উপজেলার গাড়ি এই ফেরি দিয়ে পার হয়। সরেজমিন দেখা যায়, মেঘনা নদীর মাঝে গাড়ি ভর্তি একটি ফেরির ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ সময়ে এই ফেরি দুইটির যান্ত্রিক ত্রম্নটির কারণে যান পারাপার বন্ধ রাখতে হয়। প্রায় সময় চালু থাকে একটি মাত্র ফেরি, এই ফেরিও নদীর মাঝামাঝি গিয়ে বিকল হয়ে যায়। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা যাত্রী ও যানবাহনকে। ফেরিঘাটের ইজারাদার মাহাবুবুল হক বলেন, 'আমি অনেকদিন ধরেই রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে কর্মকর্তাদের কাছে দীর্ঘদিন ধরেই বলতেছি ফেরির ইঞ্জিনগুলোকে মেরামত করে দিতে। কিন্তু তারা আমার কথা কানেই নিচ্ছে না। আমরা যদি প্রতিদিন দুইটা ফেরি চালাতে পারি তাহলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমে যাবে।' ঢাকা ফেরি রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হাসান বলেন, আমাদের যে ইঞ্জিনগুলো রয়েছে সেগুলো খুবই পুরনো আর নষ্ট। প্রতিনিয়তই ফেরির ইঞ্জিনের সমস্যা হচ্ছে আর আমরা যতটুকু সম্ভব্য হচ্ছে তা মেরামত করার চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, এই ঘাটে নিয়মিত তিনটা ফেরি চলাচলের প্রয়োজন, তাহলে জনসাধারণের ভোগান্তি কিছুটা কমবে।