বকশীগঞ্জে চিকিৎসককে মারধর

প্রতিবাদে চিকিৎসক-কর্মচারীদের কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে রোগীরা

প্রকাশ | ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের বকশীগঞ্জে চিকিৎসককে মারধরের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করেন চিকিৎসক-কর্মচারীরা -যাযদি
জামালপুরের বকশীগঞ্জে চিকিৎসকের অবহেলায় রজব আলী (৪৫) নামে এক রিকশাচালকের মৃতু্যর অভিযোগে এক চিকিৎসককে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে জড়িতদের দ্রম্নত গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভর্তিরত রোগীরা। এছাড়াও আগত রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে অন্যত্র ফিরে যাচ্ছেন। জানা যায়, সোমবার বিকাল ৫টার দিকে বুকে ব্যথা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি হন রিকশাচালক পৌর এলাকার চরকাউরিয়া সীমারপাড় গ্রামের বাসু মিয়ার ছেলে রজব আলী। এর কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃতু্য হয়। স্বজন ও স্থানীয় এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালে আরএমও ডা. আসমা লাবনীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং মারধর করেন। মৃত রজব আলীর ছেলে নুর আলম জানান, 'আমার বাবার অবস্থা খারাপের দিকে গেলে কর্তব্যরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আসমা লাবনীকে ডাকা হয়। তিনি আসেননি। এক পর্যায়ে বাবা মৃতু্যর কোলে ঢলে পড়েন।' আরএমও ডা. আসমা লাবনী জানান, 'রোগীর অবস্থা আগে থেকে খারাপ থাকায় তাকে রেফার্ড করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু রোগীর স্বজনরা আর্থিক সংকটের কথা বলে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখানে রোগীর চিকিৎসায় কোনো অবহেলা হয়নি।' এদিকে হাসপাতালের চিকিৎসককে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে অর্নিদিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মরত চিকিৎসক ও সিনিয়র স্টাফ নার্স এবং কর্মচারীরা। হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তারা দ্রম্নত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, 'একজন নারী চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় আমরা বসে থাকতে পারি না। আমাদের দাবি মানা না হলে কর্মবিরতি চলতেই থাকবে। এ ঘটনায় মামলা করব।' বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, হামলা ও মারধরের ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।