তিন জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

প্রকাশ | ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
তিন জেলায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঝিনাইদহ, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিভিন্ন অপরাধে কয়েকজনকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত- ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, ঝিনাইদহের মহেশপুরে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির অপরাধে জালাল উদ্দিন নামে এক কসাইকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৩ মাসের জেল ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে। এছাড়া মহেশপুর পৌর শহরের কলেজ স্ট্যান্ডের মাংসের দোকান সিলগাল করে বিক্রির কাজে ব্যবহৃত সারঞ্জাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম এ রায় দেন। আটক জালাল উদ্দিন উপজেলার রামচন্দ্র গ্রামের ভোলাই বিশ্বাসের ছেলে। উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, বেশ আগে থেকে তার বিরুদ্ধে অসুস্থ ও মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ ছিল। মঙ্গলবার অসুস্থ সাংস বিক্রির সময় ধরা পড়ে। এ অপরাধে তাকে ৩ মাসের জেল ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং মাংস বিক্রিতে ব্যবহৃত চৌকিসহ অন্যান্য আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পশু স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলূল কবির ও মহেশপুর থানার এসআই ফারুক হোসেন। লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা নদী থেকে মা ইলিশ ধরার অপরাধে অভিযান চালিয়ে ৭ জেলেকে আটক করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ৯ লাখ ৯৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। অভিযান থেকে প্রায় ২০০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। সেই মাছ মাওয়া, হলদিয়া ও কনকসারের মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়। সোমবার লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কায়েসুর রহমান এই অভিযান পরিচালনা করেন। বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, বাঁশখালীতে নিত্যপণ্যের বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা ও বাজার নিয়ন্ত্রণসহ শৃঙ্খলা রক্ষার্থে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। সোমবার উপজেলার চাম্বল বাজারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় কামাল অটো রাইস মিল এবং রিদোয়ান অটো রাইস মিল নামে ২টি রাইস মিলকে পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার না করায় ২০ হাজার টাকা এবং মূল্য তালিকা লটকিয়ে প্রদর্শন না করায় ৪ ব্যবসায়ীকে ভোক্তা অধিকার আইনে ৮শ' টাকা অর্থদন্ড দেওয়। অভিযানে চট্টগ্রামের পাট অধিদপ্তরের মূখ্য পরিদর্শক সোয়াইব নাঈম উপস্থিত ছিলেন।