সিলেটের বিশ্বনাথ-লামাকাজী সড়কে নকিখালী বাজার সেতুর মুখে এভাবেই গর্তের সৃষ্টি হয়েছে -যাযাদি
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচর-পিরিজপুর আঞ্চলিক-৪ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে এবং একইভাবে ভান্ডা-হালিমপুর ৩ কিলোমিটার রাস্তা অনুরূপ অবস্থায় আছে। এ দুটি রাস্তা গত ৩ থেকে ৪ বছর আগে সংস্কার কাজ হয়েছিল।
জানা যায়, সরারচর-পিরিজপুর রাস্তাটির মাঝখানে একটি কালভার্ট অর্ধেক ভাঙ্গা অবস্থায় আছে। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে শতশত অটো, সিএনজি, লড়ি গাড়ি আসা-যাওয়া করে। শতশত গর্ত রয়েছে। হাসপাতালের রোগীর গাড়ি এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। যদিও এ রাস্তাটি এলজিইডির মাধ্যমে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয়েছিল। বছর না যেতেই রাস্তার দুই পাশের পুকুর থাকার কারণে ভেঙে গেছে আরও তিন বছর আগে।
অন্য দিকে ভান্ডা-হালিমপুর রাস্তাটি কয়েকশ' বড় বড় গর্ত হয়ে যাওয়ার কারণে প্রতিদিন দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। এই ইউনিয়নের একমাত্র রাস্তাও এটি। যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ হলে হালিমপুরবাসী বিরাট ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারনা।
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি জানান, গত দুই সপ্তাহ থেকে সিলেটের বিশ্বনাথে সড়কে সেতুর মুখে বড় গর্ত থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে। যেন দেখার কেউ নেই ! জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে থাকেন। কিন্তু এই গর্তের মধ্যে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এমনই দৃশ্য দেখা যায় উপজেলার বিশ্বনাথ-লামাকাজী ব্যস্ততম সড়কে নকিখালী সেতুর মুখে। এসড়ক দিয়ে বিশ্বনাথ- রামপাশা-বৈরাগীবাজার-সিংগেরকাছ-লামাটুকেরবাজার-লামাকাজী সড়কের বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণ যাতায়াত করে থাকেন। এ রাস্তার পাশে রয়েছে একমাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স। হাসপাতালে প্রতিদিনই বিভিন্ন মুমূর্ষু রোগী যাতায়াত করেন। এমনকি রাতে সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বাস ছোট এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে।
সরেজমিন দেখা যায়, ওই সড়কের পাশে দুদিকে বড় বড় খাল রয়েছে। বন্যা ও বৃষ্টিজনিত কারণে সড়কের মাটি সরে গিয়ে সেতুর নিম্নাঞ্চলে ফাটল ধরায় সেতুর মুখে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে যানচলাচলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভবনা বেশি রয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে অবহেলিত থাকা সেতুর মুখের গর্তে বাশের খুঁটি দিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকেও এ নিয়ে চলছে লেখালেখি।
বাস চালক আব্দুর রহমান বলেন, প্রতিদিন এই সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। একাদিক থেকে গাড়ি নিয়ে আসলে অপর প্রান্তের গাড়ি পারাপারে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। রাতের বেলা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) আমির হোসেন বলেন, 'শুনেছি গত বন্যায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে সেতুর মুখ দেবে গেছে। শিগগিরই মেরামত করা হবে।'