চকরিয়ায় জাল দলিল তৈরি চক্রের ৫ সদস্যের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ | ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জালদলিল তৈরির মূল হোতাসহ ৫ জনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ফরিদুল ইসলাম, জালদলিল তৈরির মূল হোতা আবদুল হামিদ, জাবেদ আমিন, মানিক পুর এলাকার লামং রাখাইন ও উপচিং রাখাইনদের নামে গত রোববার চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মিফতাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দীর্ঘদিন ধরে কিছু প্রতারক চক্র জালদলিল তৈরি করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। এমন একটা জালদলিল শনাক্ত হলে গত বছরের ১৭ অক্টোবর দলিল লেখক কাজল বড়ুয়া বাদী হয়ে দলিলের দাতা উপচিং রাখাইন ও গ্রহীতা লামং রাখাইনের বিরুদ্ধে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলাটি কক্সবাজারের সিআইডি পুলিশ দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ফরিদুল ইসলাম, তার সহকারী আবদুল হামিদ, মানিকপুর এলাকার জাবেদ আমিন, লামং রাখাইন ও উপচিং রাখাইনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে গত রোববার উলেস্নখিত ৫ জনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। দলিল লেখক ফরিদুল ইসলাম জালদলিল তৈরি চক্রের সঙ্গে জড়িত নন উলেস্নখ করে বলেন, 'আমার অফিসের সহকারী আবদুল হামিদ আমার সিল দিয়ে ওই জালদলিল তৈরি করেছিল। বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবিলা করব।' চকরিয়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন ও সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জানান, 'যারা জালদলিল তৈরি করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে, ওই চক্রের সঙ্গে জড়িতেেদর আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।' জানতে চাইলে চকরিয়ার সাব-রেজিস্ট্রার আবদুলস্নাহ আল মামুন বলেন, যারা জালদলিল তৈরি করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে তারা দেশ ও জাতির শত্রম্ন। ওই প্রতারকচক্র সনাক্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ এবং এই চক্রের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।