শ্যামাপূজা আজ

প্রকাশ | ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্যামাপূজা আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামাপূজা বা কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এ সময় লক্ষ্ণী ও অলক্ষ্ণী পূজারও বিধান আছে। যারা কোজাগরী পূর্ণিমায় লক্ষ্ণীপূজা করেননি, তাদের অনেকেই কার্তিক অমাবস্যায় লক্ষ্ণীপূজা করেন। অবাঙালি হিন্দুরা এদিন লক্ষ্ণী ও গণেশের পূজা করেন। পুরাণ মতে, কালী দেবী দুর্গারই একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার 'কাল' শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালীপূজা হলো, শক্তির পূজা। জগতের সব অশুভশক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্যাশক্তি মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত। কালীপূজার দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সন্ধ্যায় তাদের বাড়ি ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা এবং আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। এটিকে বলা হয় দীপাবলি। দুর্গাপূজার মতো কালীপূজাতেও মন্ডপে মাটির প্রতিমা তৈরি করে পূজা করা হয়। মন্দিরে বা বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতুপ্রতিমাতেও কালীপূজা করা হয়ে থাকে। মাঝরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তি কালীরূপে এই অনুষ্ঠিত হয়। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানেও ধুমধামের সঙ্গে শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীতে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা কালীমন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, সবুজবাগ থানার শ্রী শ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, পুরান ঢাকার রাধাগোবিন্দ জিঁও ঠাকুর মন্দির, পোস্তাগোলা মহাশ্মশান, তাঁতিবাজার, শাখারিবাজার, বাংলাবাজারসহ বিভিন্ন মন্ডপ ও মন্দিরে শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।