ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে মাদ্রাসা ছাত্রদের বিশেষ মোনাজাত

মধুমতির ভয়াবহ ভাঙনে দিশেহারা ৫ গ্রামের মানুষ

প্রকাশ | ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের ৫ গ্রামের মানুষ মধুমতি নদীর ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। গয়েশপুর, বকসিপুর, জারজরনগর, বিজয়নগর, চরকুসুন্দি গ্রামে ইতোমধ্যে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। এদিকে নদী ভাঙনের হাত থেকে জন্মস্থান আর বিভিন্ন স্থাপনাকে রক্ষা করতে বিশেষ মোনাজাত করছেন স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। ভাঙনের হাত থেকে কোনো প্রকার প্রতিকার না পেয়ে গত বুধবার বিকালে এলাকাবাসী স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে বিশেষ মোনাজাতের ব্যবস্থা করেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন গয়েশপুর মুসলীহুল উম্মাহ্‌ কওমি মাদ্রাসার মাওলানা ইয়াসির আরাফাত। এতে অংশ নেন গয়েশপুর মুসলীহুল উম্মাহ্‌ কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ ভাঙনকবলিত ৫ গ্রামের কয়েকশ' মানুষ। মোনাজাতে অংশ নিয়ে গয়েশপুর মুসলীহুল উম্মাহ্‌ কওমি মাদ্রাসার তাওহীদুল ইসলাম বলেন, নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ১৫ দিন ধরে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে করে প্রতিদিনই কৃষিজমি ভেঙে পড়েছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে বনায়নের জমি, বাড়ি, স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদ। মো. আকবর নামে স্থানীয় একজন বাসিন্দা জানান, ইতোমধ্যে গ্রামগুলোর ২০টি বাড়ি ও অনেক কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি হাই স্কুল, ৭টি মসজিদ, একটি মাদ্রাসাসহ অসংখ্য স্থাপনা। এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে নদী ভাঙনরোধে বাঁধ নির্মাণের জোর দাবি জানিয়ে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাকিব হোসেন চৌধুরী বলেন, 'আমি এই গ্রামগুলো ও কৃষিজমি এবং ঘরবাড়ি, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রক্ষার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযেগ করেছি।' ভাঙনরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ফরিদপুর জেলা উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সন্তোষ কর্মকার জানান, 'আমরা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করেছি।'