আনোয়ারায় জমে উঠছে ঈদ বাজার

প্রকাশ | ২১ মে ২০১৯, ০০:০০

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
ঈদকে সামনে রেখে আনোয়ারার বিভিন্ন শপিংমলগুলোতে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। ঈদের আনন্দ ভাগভাগি করতে নতুন জামা আর বাহারি জুতা ও কসমেটিক্স কেনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। তাই তো বড়দের পাশাপাশি ছোটদের ভিড়ও বাড়ছে উপজেলার ঈদ বাজারগুলোতে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজানের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতেই এবার ক্রেতাদের ভিড় জমতে শুরু করেছে শপিংমলগুলোতে। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই ছুটছেন নিজের ও প্রিয়জনের জন্য পছন্দের পোশাক কিনতে। এদিকে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের সামর্থ্যের কথা মাথায় রেখেই শপিংমলগুলোতে তোলা হয়েছে ঈদের বিভিন্ন ধরনের পোশাক। এ ছাড়া বিদেশি পোশাকের পাশাপাশি এবার দেশীয় গার্মেন্টস পোশাকও বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। শনিবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের অনেক আগেই জমে উঠেছে মার্কেটগুলো। বটতলী হাজি ইমাম শপিংসেন্টার, বন্দর ইত্যাদি শপিংসেন্টার, জয়কালী হাট বাজার, চাতরী ওয়ান মাবিয়া সিটি সেন্টার, আমিন কমপেক্স, আবুল হোসেন মার্কেটসহ এখানে জনসমাগমও ঘটে অনেক বেশি। এ সব মার্কেটে বাহারি কালেকশনের সাশ্রয়ী মূল্যে ছেলেদের শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, মেয়েদের কামিজ, পার্টি ড্রেস, থ্রিপিস, কসমেটিক্স, বাচ্চাদের খেলনাসহ ঘরসজ্জার জিনিসও পাওয়া যাচ্ছে। এখানে পাঞ্জাবি ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা, শার্ট ৫শ থেকে ২ হাজার টাকা, প্যান্ট ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকায় মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। পোশাকের পাশাপাশি এবার জুতা আর কসমেটিক্সের  দোকানেও  ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে বটতলী হাজি ইমাম শপিং সেন্টারের নকশীর প্রোপ্রাইটর খোরশেদ আলম বলেন, 'গ্রামের মার্কেট হিসেবে ঈদের আগে কেনাকাটা অনেকটা ভালো হচ্ছে। দামও সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া আমরা ক্রেতাদের সব ধরনের চাহিদা মেটাতে চেষ্টা করেছি।' এদিকে শপিং করতে আসা কলেজছাত্রী নিশাত সুলতানা কনিকা বলেন, 'আগেই মেয়েদের কেনাকাটা না করলে পরে ঝামেলায় পড়তে হয়, তাই আমি আগেই শপিং শেষ করছি। দামও তুলনামূলক কম থাকায় অনেকটাই ভালো লাগছে।'  এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা থানায় অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, 'ঈদকে সামনে রেখে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।'