কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ঘুর্ণিঝড় 'দানা'র প্রভাবে নুয়ে পড়া আমন ধান -যাযাদি
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সম্প্রতি বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে মাঠের পাকা-আধাপাকা আমন ধান গাছ নুইয়ে পড়েছে। ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কৃষকদের মাথায় হাত। বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে ক্ষতির মুখে পড়েছে শীতকালীন আগাম শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্য।
ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল হাইব্রিড ৫৪৫ হেক্টর, উফশী ৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর ও স্থানীয় ৩৬ হেক্টর। মোট ৬ হাজার ৫৩১ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে হাইব্রিড ৭৬০ হেক্টর, উফশী ৫ হাজার ৭৪০ হেক্টর ও স্থানীয় ২০ হেক্টর। মোট ৬ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমন মৌসুমে কৃষককে সরকারি প্রনোদনা (বীজ ও সার) দেওয়া হয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছে শীতকালীন আগাম শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্য।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্যের। বাতাসে নষ্ট হয়েছে মাঠের পাকা রোপা আমন ধানের। এদিকে এমন ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে।
কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, তার জমিতে লাগানো অধিকাংশ আমন ঝড়ো হাওয়ায় নুইয়ে পড়েছে। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার অনেক ভালো ফলন হয়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তোলা নিয়ে তিনি চিন্তিত।
কৃষক মনোয়ার হোসেন বলেন, তার জমিতে ধান ভালো হলেও ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে ঝড়ে ধান গাছগুলো হেলে পড়েছে। ৫ বিঘার ধান হেলে পড়ে। ধানের শিষে যে দানা রয়েছে, তা এখনো শক্ত হয়নি। অনেক ধান চিটা হয়ে যাবে। আর যে ফলন হওয়ার কথা ছিল তাও কমে যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদা সুলতানা বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে আমন ধানের তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে। আশা করছেন শিগগিরই এই দুর্যোগ কেটে যাবে।