শিশু-কিশোরদের সাঁতার প্রশিক্ষণ : বরগুনার জেল সুপারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ

প্রকাশ | ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

বিশেষ প্রতিনিধি
নিজ উদ্যোগে ও বিনা পারিশ্রমিকে বরগুনা জেলা শহরের এলজিইডি ভবনের একটি পুকুরে প্রায় ২৫ জন শিশু-কিশোরকে সাঁতার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন বরগুনা জেলা কারাগারের জেল সুপার আমজাদ হোসেন ডন। তিনি জাতীয় পর্যায়ে ১৯৮৩ সালে সাঁতারে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৮৪ সালে জাতীয় পর্যায়ে রৌপ্য পদক পান। এছাড়া জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় ২০০৫ সালে স্বর্ণপদক পান। তিনি ২০২২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ করেন। তার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ জেল ক্রীড়া ক্ষেত্রে ৭টি ইভেন্টে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্মান বয়ে এনেছে। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশন, বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তার তত্ত্বাবধানে সাঁতার শিখতে আসা শিশু সালমান, নাহিয়ান, ময়ূখ, মনিষা, আদিত্য, অর্ক, মুয়াজ, প্রিন্স, পবন, আদি, রাজিন আনন্দের সাথে সাঁতার শিখছেন। তারা প্রতিদিন ১ ঘণ্টা করে সাঁতার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এমন উদ্যোগের বিষয়ে বরগুনা জেলা কারাগারের জেল সুপার আমজাদ হোসেন বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমি সাঁতারের প্রতি আগ্রহী ছিলাম। "সাঁতার শিখুন, জীবন বাঁচান" এই সেস্নাগানকে আমি বাস্তবায়ন চাই। সরকারি অথবা বেসরকারি পর্যায়ে বরগুনায় কোনো সুইমিং পুল নেই। জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে বরগুনা জেলা শহরেও একটি সুইমিং পুল নির্মাণ করা জরুরি প্রয়োজন। তাই সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।' জেল সুপার আমজাদ হোসেনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বরিশালের ডিআইজি প্রিজন মো. আলতাব হোসেন জানান, 'উপকূলীয় এলাকা নদীবেষ্টিত এবং দুর্যোগপ্রবণ হওয়ায় সাঁতার শেখানো একটি ব্যতিক্রমী সময়োচিত উদ্যোগ। সাঁতার শিখতে শিশু-কিশোর আগ্রহী করে তোলার নানামুখী উদ্বুদ্ধকরণ তৎপরতা চালাতে পারলে এটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। উদ্যোগটি দেশময় ছড়িয়ে পড়বে এমনটি প্রত্যাশা আমাদের।' কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন চৌধরী বলেন, 'কারাবন্দিদের সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি আমরা সারা বাংলাদেশের মানুষেরও সুরক্ষা দিতে চাই। সাঁতার শিখানোর পাশাপাশি আমাদের অনেক কারা কর্মকর্তারা জনস্বার্থে অনেক ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিচ্ছেন।' যা ইতোমধ্যে সরকার ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সুনাম অর্জন করেছেন তিনি মন্তব্য করেন।