সারিয়াকান্দিতে পলিথিন বন্ধে নেই কোনো সরকারি উদ্যোগ
প্রকাশ | ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
সারিয়াকান্দি উপজেলার হাটবাজারে কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে মুরগি ও মাংস মাছ বিক্রেতা- সবাই অবাধে ব্যবহার করছেন পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর পলিথিন। সচেতন নন ক্রেতারাও। মালামাল বহনের সুবিধার্থে তারাও চান পলিথিনের ব্যাগ। মধ্যে হাতলওয়ালা পলিব্যাগ বাজারে না দেখা গেলেও এখন দেখা মিলছে অহরহ। সারিয়াকান্দি বাজারে ঘুরে দেখা যায় এই দৃশ্যই। হাতলওয়ালা ও কালো পলিথিনের ব্যবহার হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত। অথচ এটা বন্ধে নেই কোনো উদ্যোগ। সকালে কাঁচাবাজার থেকে সবজি কিনে পলিব্যাগে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন হিন্দুকান্দি গ্রামের বাসিন্দা সবুজ মাস্টার। তিনি বলেন, পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ হলেও সবাই ব্যবহার করছে। এর বিকল্প হিসেবে অন্য কোনো ব্যাগ বাজারে তেমন একটা দেখা যায় না। আর বিক্রেতারাও পণ্য পলিথিনে দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
সহজপ্রাপ্তি আর মূল্য কম হওয়ায় অন্য ব্যাগের পরিবর্তে পলিথিনে আগ্রহ বেশি বলে জানান খুচরা ব্যবসায়ীরা। সরকার পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করলেও বাজারে এখনো পলিথিন সরবরাহ রয়েছে। বরং পাট বা অন্য ব্যাগের সরবরাহ নেই বললেই চলে। আর পলিথিন দামেও সস্তা। তাই পলিথিন ব্যবহারের প্রতিই তারা আকৃষ্ট। পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন, ব্যবহার, মজুতকরণ ও সংরক্ষণ আইন-২০০২ নিষিদ্ধ হওয়ার পর সারাদেশে কমে যায় পলিথিনের ব্যবহার। তবে সেই সোনালি দিন খুব বেশি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কিছুদিনের মধ্যেই চিত্র পাল্টে যায়। সব জায়গায় আবারও ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশ দূষণকারী পলিব্যাগ।
সারিয়াকান্দি বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ বলেন, এটা ঠিক যে, কাগজ ও পাটের ব্যাগের ব্যবহার আমাদের পলিথিনের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে পারে। তবে এর জন্য পাট ও কাগজের ব্যাগের ইতিবাচক দিক, স্বল্পমূল্য ও সহজ প্রাপ্তির বিষয়টি আগে নিশ্চিত করতে হবে। দীর্ঘদিন এমন কোনো কিছুই নজরে আসেনি। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনেরও সদিচ্ছা ও তদারকি থাকা প্রয়োজন। সারিয়াকান্দি ইউএনও শাহারিয়ার রহমান বলেন, 'সারিয়াকান্দিতে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমরা সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আগামীতে পদক্ষেপ নেব।'
পরিবেশ অধিদপ্তরের বগুড়া জেলার সহকারী পরিচালক মাহাথীর বিন মোহাম্মদ বলেন, 'পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে আইন ও বাস্তবায়ন দুটোই রয়েছে। আমরা সব সময়ই কাজ করে যাচ্ছি। ভ্রাম্যমাণ টিম নিয়মিত তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। তবে যতক্ষণ না মানুষ সচেতন হবে, ততক্ষণ পুরোপুরিভাবে এটা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।'