পুঁজিবাজারের উন্নয়নে চার প্রতিষ্ঠানের যৌথ কমিটি

প্রকাশ | ২৩ মে ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এই চারটি প্রতিষ্ঠান একসাথে কাজ করতে যৌথ কমিটি গঠন করেছে। বুধবার ডিএসইতে অনুষ্ঠিত স্টেকহোল্ডারদের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সংস্কারের সহযোগিতা করতে চার প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগামীতে বিএসইসির সাথে থেকে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে একসাথে কাজ করবে। আগামিতে পুঁজিবাজার নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তাব না দিয়ে, সমন্বয় করে একটি প্রস্তাব দেয়া হবে। এবং যেকোন বিষয়ে প্রস্তাব দেয়ার ক্ষেত্রে এই ৪টি সংগঠনের পক্ষে একটি প্রস্তাব দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে ডিএসইর পক্ষে মিনহাজ মান্নান ইমন, ডিবিএর পক্ষে মো. শাকিল রিজভী, সিএসইর পক্ষে ছায়েদুর রহমান ও বিএমবিএর পক্ষে নাসির চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ জন করে প্রতিনিধি থাকবে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে প্রতিনিধি ছাড়াও চার প্রতিষ্ঠানের নেতারা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। ডিএসই পরিচালক ইমন বলেন, পুঁজিবাজারের যেকোন প্রস্তাব দেওয়ার আগে কমিটির মধ্যে আলোচনা করে তারপর প্রস্তাব দেওয়া হবে। যাতে কোনো বিভ্রান্তি তৈরি না হয় এবং ভিন্নভাবে প্রস্তাব দেয়া না হয়। যাতে পুঁজিবাজারে কোনো নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে। তিনি আরও বলেন, গত কিছুদিনে অনেক সংস্কারের পরেও পুঁজিবাজারে গতি ফিরছে না, মনে হচ্ছে কোথাও গ্যাপ আছে। সেটা সমন্বয়ের অভাব বলেই আজকের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তাই আগামীতে চারটি সংগঠন একসাথে কাজ করবে। ডিএসইর সাবেক সভাপতি ও পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিএসইসি গত ২৯ এপ্রিল অনেকগুলো সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। বিএসইসি উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের পৃথকভাবে ২ শতাংশ ও সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ, অযৌক্তিক বোনাস শেয়ার ঘোষণা বন্ধ, উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি নিয়ন্ত্রণে বস্নক মডিউল তৈরি ইত্যাদি পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন থেকে ইচ্ছা করলেই উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না। তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে শেয়ারবাজারের দুর্বল দিক নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। সবকিছু মিলিয়ে বিএসইসি বেসিক জায়গায় সংস্কার করেছে। পুঁজিবাজার নিয়ে খায়রুল হোসেনের সকল উদ্যোগের সাথে আমরা পূর্ণ সমর্থন জানাই। ডিবিএ পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, আমরা বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কার চাইতেই পারি। তবে শেয়ারের দর ওঠা-নামার জন্য কাউকে দায়ী করা ঠিক হবে না। সারাবিশ্বের শেয়ারবাজারে শেয়ার দর ওঠানামা করে। সেটা অনেক কারনেই হতে পারে। এক্ষেত্রে বিএসইসিকে দায়ী করা ঠিক হবে না। সূচকের উঠা-নামায় বিএসইসির ভূমিকা থাকে না। তাদের কাজ আইন-কানুন ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি-না তা দেখা। শেয়ারের দর ঠিক করে বিনিয়োগকারী।