গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় বিদু্যৎ বিল বকেয়া ২ কোটি টাকা

প্রকাশ | ২৪ মে ২০১৯, ০০:০০

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
১০ বছরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার কাছে বিদু্যৎ বিভাগের বকেয়া বিল পাওনা হয়েছে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৩১ হাজার ৮৮১ টাকা। বকেয়া বিল পরিশোধে ন্যাসকো গোবিন্দগঞ্জ ডিস্টিবিউশন কর্তৃপক্ষ বারবার তাগাদা দিলেও কোন উদ্যোগ নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। তবে পৌর মেয়রের অভিযোগ, পৌরসভায় সন্তোষজনক আয় (আর্থিক অবস্থা সংকুলান) না হওয়ায় এবং বিদু্যৎ কর্তৃপক্ষের ভুতুড়ে (মনগড়া) বিল প্রদান করে এই জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এদিকে ন্যাসকো গোবিন্দগঞ্জ ডিস্টিবিউশন নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকায় বাণিজ্যিক ও আবাসিকসহ প্রায় ২৭ হাজার গ্রাহক রয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার নামে তিনটি মিটার (হিসাব নম্বর) রয়েছে। এর মধ্যে ৮০৩ ও ৮১৮ নম্বর একাউন্টের দুটি মিটারে সড়কের বাতি ও ৯২৪/ই নম্বরের মিটারে পৌর ভবনে বিদু্যৎ ব্যবহার করছে পৌর কর্তৃপক্ষ। গত ১০ বছর ধরে এ পর্যন্ত তিনটি মিটারের হিসেবের বিপরীতে পৌরসভার কাছে বিদু্যৎ বিল বকেয়া রয়েছে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৩১ হাজার ৮৮১ টাকা। বিদু্যৎ বিল বকেয়া সম্পর্কে পৌর মেয়র মো. আতাউর রহমান সরকার বলেন, 'অর্থ সংকুলান না হওয়ায় বিদু্যৎ বিল বকেয়ার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ে বরাদ্দ চেয়ে গত বছরের ২১ জানুয়ারি আবেদন করা হয়েছে।' তবে তিনি জানান, এখনো এই বরাদ্দ না মেলায় বিদু্যৎ বিল বকেয়ার পরিমাণ বাড়ছে। সম্প্রতি বিদু্যৎ বিল বকেয়া নিয়ে ফেসবুকে স্টাটার্স দেয়াকে কেন্দ্র করে গৌতম কুমার নামে স্থানীয় এক সাংবাদিককে মারধর করে মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌর মেয়রের লোকজনের বিরুদ্ধে। গৌতম কুমারের অভিযোগ, বিদু্যৎ বিল বকেয়া নিয়ে ফেসবুকে স্টাটার্স দেয়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন মেয়র। ১৭ মে রাতে পৌর এলাকার নুরজাহান আবাসিক হোটেলে মেয়রের নির্দেশে কয়েকজন ভাড়াটে যুবক তাকে মারধর করে। এ বিষয়ে তিনি মামলার প্রস্ততি নিচ্ছেন বলে জানান। মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে মেয়র বলেন, 'উত্তম একজন চাঁদাবাজ, সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন দপ্তরে চাঁদাবাজি করে সে।'