২০ মিনিটের যাত্রায় ভাড়া ২০০ টাকা!
প্রকাশ | ২৪ মে ২০১৯, ০০:০০
পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার কাজীর হাট ও মানিকগঞ্জের আরিচায় পদ্মা-যমুনা নৌপথে যাত্রীবাহী স্পিটবোটে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে একাধিক যাত্রীর সাথে আলাপকালে জানা গেছে। কাজীর হাট থেকে আরিচা ঘাটে নৌপথে পৌঁছাতে সময় লাগে ২০ মিনিট। এপাড় নতুবা ওপাড় থেকে যাত্রী প্রতি স্পিটবোটে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ২০০ টাকা।
ইউপি সদস্য ঠান্টু শেখ জানান, কাজীরহাট-আরিচাঘাটে নৌ রুটে যাতায়াত করার জন্যে আমরা দীর্ঘদিন ধরে ফেরী, লঞ্চ ও নৌকায় যাতায়াত করে আসছিলাম। মাঝে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেলেও লঞ্চ ও ইঞ্জিন চালিত নৌকা চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
ঠান্টু শেখ বলেন, গেল চার বছর আগে লঞ্চ, ইঞ্জিন চালিত নৌকার পাশাপাশি ব্যক্তিমালিকানায় স্পিটবোট সার্ভিস চালু করা হয়। স্পিড বোটে পদ্মা-যমুনা পাড় হতে সময় লাগে ২০ মিনিট। অথচ ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও লঞ্চে সময় লাগে ১ থেকে দেড় ঘন্টা। সময় বাঁচাতে যাত্রীরা ঝুঁকে পড়েছে স্পিডবোটে।
স্থানীয়রা বলছেন, সময় কম লাগে বলেই ব্যক্তিমালিকানাধীন স্পিডবোটের মালিকেরা সুযোগ নিয়ে ভাড়া নির্ধারণ করেছেন জনপ্রতি ২শ' টাকা। তাদের অভিযোগ, নৌ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর দায়িত্বে অবহেলার কারণেই স্পিডবোট মালিকরা ইচ্ছেমাফিক ভাড়া আদায় করছে যাত্রীদের জিম্মি করে।
আরিচা ঘাট থেকে কাজীরহাট ও কাজীরহাট থেকে আরিচা ঘাট পারাপারে যাত্রী আবুল কালাম, রফিকুল ইসলাম, বিপব, জানে আলম, রওশন, কণিকাসহ একাধিক যাত্রীর সাথে আলাপকালে তারা বলেন, যাত্রী প্রতি শুধু ২শ' টাকা ভাড়াই নয়, কাছে কোন লাগেজ, ব্যাগ-বস্তা থাকলে তাদের কাছ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে এমন অভিযোগ তাদের।
স্থানীয়ভাবে টিকিট বুকিং কাউন্টারে সাধারণ যাত্রীরা ভাড়ার বিষয়ে কোন কথার বলার সুযোগই পাননা। স্পিটবোর্টের মালিকরা সেখানে উচ্ছৃংখল কিছু লোক সেট করে রেখেছেন। ফলে তাদের ভয়ে কোন যাত্রী কথা বলে সাহস পাননা।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে, অধিকাংশ স্পিটবোটের চালক কিশোর ও প্রশিক্ষণ বিহীন। তাছাড়া লাইফ সাপোর্ট জ্যাকেট অনেক স্পিটবোটেই নেই। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সময় বাঁচাতেই যাত্রীরা নদী পারাপার করছেন।