মনুর ভাঙন আতঙ্কে ২৫ গ্রামের মানুষ

প্রকাশ | ২৭ মে ২০১৯, ০০:০০

রাজনগর (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা
মৌলভীবাজার রাজনগরের কালাইকোনা এলাকায় মনুনদীর ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন স্থানীয় জনগণ -যাযাদি
মৌলভীবাজারের রাজনগরে মনু ও ধলাই নদীর ভাঙ্গন আতঙ্কে তীরবর্তী ২৫টি গ্রামের মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। গত বছর রাতের আঁধারে ওই দুটি ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করে বড় ধরনের বন্যার সৃষ্টি হওয়ায় এই আতঙ্ক আরও বেড়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বারীবর্ষণে এ দুটি নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে গেছে। পানির প্রবল স্র্রোতে প্রতিরক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভারতের ধর্মনগর, কৈলাশহরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের রাজনগরে মনু ও ধলাই নদীর পানি বৃহস্পতিবার থেকে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ সময় পানির প্রবল স্র্রোতে নদী তীরের কয়েকটি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়। ভাঙ্গনের ঝুঁকির খবর পেয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের মনুনদী প্রতিরক্ষা বাঁধের কালাইকোনা এলাকায় যান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজমুল হক সেলিম। এ সময় তার নেতৃত্বে স্থানীয়রা মাটির বস্তা দিয়ে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করা হয়। পরে ভাঙ্গন স্থান পরির্দশন করেন রাজনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান খান, রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসিম। শনিবার সকাল থেকে ভাঙ্গনকবলিত স্থান মেরামতের কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। মনু নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে নতুন করে ভাঙ্গনের আশঙ্কায় রয়েছে কামারচাক ইউনিয়নের ইসলামপুর, করাইয়া, ভোলানগর, জালালপুর, দস্তিদারেরচক, তেঘরি, মৌলভীরচক, আদমপুর, কামারচাক, খাসপ্রেমনগর, বিশালী, মিঠিপুরসহ প্রায় ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। এ ছাড়াও উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের মনু নদীর বাঁধের দুইটি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় কোনাগাঁও, উজিরপুর, হরিপাশা, কান্দিরকুল, আদিনাবাদ গ্রামের মানুষও ঝুঁকিতে রয়েছে। কালাইকোনা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আতঙ্কিত আব্দুলস্নাহ মিয়া তার ঘর ভেঙ্গে সরিয়ে নিচ্ছেন। কামারচাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজমুল হক সেলিম বলেন, শ্যামরকোনা ও নওয়াগাঁও এলাকায় ধলাই নদীর বাঁধ মেরামত করার উদ্যোগ নিতে অনেকবার উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় বলে আসছি। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌসী আক্তার জানান, মনুনদীর পানি বৃদ্ধির খবর জেনেছি। তবে এখনো তা আশঙ্কাজনক নয়। তবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।