ধানের দাম কম হওয়ায় জমেনি ঈদবাজার

প্রকাশ | ২৭ মে ২০১৯, ০০:০০

আদমদীঘি (বগুড়া) সংবাদদাতা
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কৃষকরা এবার সোনার ফসল বোরো ধান ঘরে তোলার আগে থেকে আশায় বুক বেঁধেছিল। কিন্তু এবার ধানের দরপতন এভাবে হবে তা কখনো ভাবেনি কৃষকরা। আর বাজারে ধানের দাম হওয়ার কারণ তার প্রভাব পড়েছে এবারের ঈদ বাজারে। মূলত বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলাটি হলো কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই প্রতি বছর ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে চাঙ্গা হয়ে উঠে উপজেলার প্রতিটি ঈদ বাজার মার্কেটগুলো। ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়ে মার্কেটে প্রবেশ করতে হিমশিম খেতে হতো ক্রেতাদের। কিন্তু এবার তার চিত্র উল্টো। মনে হয় একেবারেই যেন থমকে গেছে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা। এ বছর রমজান শেষ হতে চলেছে শুধু ধানের দাম না থাকায় এখনো জমেনি ঈদের বাজার। সাধারণ পরিবারগুলোতে ঈদের আনন্দ নেই বললেই চলে। তবে দোকানিরা এখনো আশা ছাড়েনি, তাদের ভাবনা ঈদ যতই ঘনিয়ে আসবে ততই ঈদ মার্কেটে ক্রেতাদের আগমন বৃদ্ধি পাবে। উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের দোকানগুলোতে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে তারা দেশি-বিদেশি পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসে থাকলেও বিগত দিনের তুলনায় এবার ক্রেতাসাধারণের সংখ্যা অনেকাংশে কম লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রতি বছর ১৫ রমজানের পর থেকে জমজমাট কেনাকাটা শুরু হলেও এ বছর এখনো জমে উঠেনি ঈদের বাজার। উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাশিমালা গ্রামের কৃষক আলিমুদ্দিন, আব্দুল মালেক, কদমা গ্রামের কৃষক আব্দুল মতিন, কোরবান আলী, কুসুম্বী গ্রামের কৃষক আজমল হোসেন, ইদ্রিস আলী ও মুরাদপুর গ্রামের কৃষক হান্নান আলী, জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেক চাষি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বর্তমানে প্রতি মণ ধান সর্বোচ্চ ৬৩০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের বাজারের জন্য কয়েক মণ ধান বিক্রি করলেও তা দিয়ে তেমন কিছু কেনা যাবে না। তাই পরিবারের সদস্যদের জন্য এখনো তারা নতুন কাপড় কেনেননি। উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরে অবস্থিত আনছারী ওড়না হাউসের স্বত্বাধিকারী মোহন হোসেন জানান, প্রতি বছর ২০ রমজান পার হলে আমাদের দম ফেলার ফুরসত থাকে না। এবার যেন তার চিত্র একেবারেই আলাদা। বর্তমানে ঈদ বাজার নাকি মনেই হচ্ছে না। ক্রেতাসাধারণের সমাগম খুবই কম। তবে আশা রাখি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জমে উঠবে এবারের ঈদের বাজার।