সোনারগাঁও ইউএনও অফিসে নানা অনিয়মের অভিযোগ
প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
আকতার হোসেন অপূর্ব, স্টাফ রিপোর্টার
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে সরকার নির্ধারিত ১%-এর বিপরীতে ২৮% ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণে অর্থ ছাড় এবং সরকারি টাকা খরচ করে ভবন সংস্কারের পরও সরকারি অর্থ ফাঁকি দিতে ইউএনও বাসভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা অন্যতম। তবে দায়িত্বরত ইউএনও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তথ্যমতে, উপজেলা ভূমি উন্নয়ন করের টাকার ১% পরিষদের ফান্ডে জমা হয়। যা উপজেলা পরিষদ নির্দিষ্ট সময় পরপর আয়তন জনসংখ্যা এবং প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে অর্থ ছাড় করে থাকে। সেই টাকা দিয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলাধীন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা প্রয়োজনীয় উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন।
তাদের কারিগরি সহায়তা প্রধানের জন্য প্রত্যেকটি ইউনিয়নেই একজন উপসহকারী প্রকৌশলী দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছন। ওই উপ-সহকারী প্রকৌশলী তার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকেন। তার কার্যক্রম সার্টিফাই করার মাধ্যমে বিল প্রদান করা হয়ে থাকে।
অভিযোগ রয়েছে, সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং তার প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে মোট টাকার ২৮% দিলে তবেই ভূমি উন্নয়ন করের টাকা ছাড় করা হয়।
সম্প্রতি সোনারগাঁও উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য শাকিল সাইফুলস্নাহ, অনিক, বাধন, ফারজানা এবং স্বজন অভিযোগটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমানের কাছে জানান। তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত হাই অফিসিয়ালদের কাছে পেশ করবেন জানিয়ে বলেন, আপনারা তো এ বিষয়ে জানার অথরিটি নন।
এলজিইডির হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জানান প্রত্যেকটি উন্নয়নমূলক এবং ঠিকাদারি কাজের ভ্যাট এবং ইনকাম ট্যাক্স ৭.৫% এবং ৭% মোট ১৪.৫% টাকা কাজ সমাপ্ত হওয়ার পরে বিল দেওয়ার সময় কর্তন করা হয়ে থাকে।
অপরদিকে, অপর এক অভিযোগে জানা যায়, সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনটি ৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা খরচ করে ইন্টোরিও ডিজাইন কাজ চলমান থাকা অবস্থাতেই সরকারি বাসা ভাড়ার অর্থ ফাঁকি দিতে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন ইউএনও ফারজানা রহমান।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান জানান, ২৮ ভাগ টাকা কাটার অভিযোগটি সঠিক নয়। কেননা, কাজ শেষে তারা চেক দিয়ে থাকেন। ওইসব চেক ভাঙানোর সময় সরকার নির্ধারিত ভ্যাট ও ট্যাক্স ইউপি চেয়ারম্যানরাই পরিশোধ করেন। ইউএনও অফিসে টাকা কাটার কোনো সুযোগ নেই।
উপজেলা প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল হক জানান, মন্ত্রণালয়ের থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবন মেরামতের জন্য ৭ লাখ ৭১ হাজার টাকার অনুমোদন পাওয়া যায় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মৌখিক নির্দেশক্রমে জরুরি ভিত্তিতে কাজটি করার জন্য কোটেশন পদ্ধতি অনুসারে মাওলা এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে কাজটি করা হয়। তবে কাজটি চলমান থাকা অবস্থায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণায় তারা অবাক হয়েছেন।